ঢাকা: রাজবাড়ির বিয়ে উপলক্ষে গোটা ভুটান জুড়েই এখন উৎসবের আমেজ। এই উৎসবে সামিল হয়েছেন শুধু রাজবাড়ি বা শাসনকাজে নিযুক্তরাই নয়- দেশের মানুষ।
চলছে দেদার খানা-পিনা। রাজবাড়ি অতিথিশালায় প্রতিদিন রোজ দুবেলায় ১৫০০ লোকের পাত পড়ছে।
থাকছে নানা ধরণের কমপক্ষে ৫২ রকমের পদ।
যে যেমন চাইছেন- তার পাতে তাই তুলে দেওয়া হচ্ছে। থাকছে- পুরি, আলুর দম, চিকেন কারি, শুখা রুটি। মাংসের রয়েছে ১০ রকমের পদ। আট রকমের ভাত।
তিন রকমের দাৎসি। যা দই, মাংস, চিজ আর লঙ্কা দিয়ে তৈরি করা হয়। দু’রকমের স্যুপ। আলুর তৈরি ইয়াম খাবার। ৮ রকমের মাছের পদ।
সঙ্গে আছে ৭ রকমের পানীয়- আরা, বাঙ্গচাঙ্গ, সুজা, নাগাজা, সিঙ্গচাঙ্গ, দাচু এবং দাও। রঙ বেরঙয়ের কাঠের গ্লাসে করে অতিথিদের পানীয় সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়াও সবার জন্য আছে ‘কেওয়া দস্তে’ এবং ‘বাকশা মারখু’। কেওয়া দস্তে হল- ডিম, আলু আর চাল দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি সুস্বাদু খাবার। অনেকটা আমাদের বিরিয়ানীর মতো খেতে।
আর বাকশা মারখু হল- এক ধরণের মিষ্টান্ন। একেবারে ভূটান রাজপরিবারের নিজস্ব ঘরানার খাবার। ২৫ কেজি ময়দা, মাখন, চিনি আর ঘরে তৈরি চিজ দিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। এটি হচ্ছে সব থেকে সুস্বাদু খাবার। না খেলে মজা বোঝা যাবেনা।
শুধু রাজার বাড়িতে পাত পেতে খাওয়াই নয়। সরকারি তরফে প্রকাশ করা হয়েছে নব দম্পতির ছবি সম্বলিত নতুন মুদ্রা ও নোট।
সাধারণের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে নতুন জীবনবীমা পলিসি। এই জীবন বীমা পলিসির নাম দেওয়া হয়েছে কুয়েন্দু এনগেঙ্গসাঙ্গ লাইফ পলিসি।
রাজার বিয়ে উপলক্ষে এই জীবন বিমার বৈশিষ্ট্য হল, যদি কেউ যথাসময়ে পলিসির টাকা দিতে সমস্যায় পড়েন তার পরেও এটি বন্ধ হয়ে যাবে না। বিমাকারীর পরিবারকেও বাড়তি দায়ভার বইতে হবে না।
যদিও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি- তবে রাজ দম্পতি চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই মধুচন্দ্রিমা করতে ভারতের রাজস্থানে যাচ্ছেন।
যদিও নিরাপত্তার কারণে জায়গার নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১১