সময় এখন প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবন।
বর্তমান যুগে আধুনিকমানের ক্লাসরুম বলতে কী বোঝায়? উত্তর হবে, যে ক্লাসরুমে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া সুবিধা। হোক সেটা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। সবখানেই প্রজেক্টর ও কম্পিউটারের ব্যবহার মানেই আধুনিকমানের ক্লাসরুম।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে এখন দেখা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার তো করছেই; এমনকি শিক্ষার্থীদেরকে দিয়েও ব্যবহার করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিদিনই ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেওয়া হয়। আবার কোর্সে থাকে একাধিক ‘প্রেজেন্টেশন’।
অ্যাসাইনমেন্ট করার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে তথ্য খোঁজা থেকে শুরু করে সেগুলো সাজানো ও সবশেষে প্রিন্ট করা পর্যন্ত রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার। আর ক্লাসে প্রেজেন্টেশনতো কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের মাধ্যমেই শেষ করতে হয়। আর এর মধ্যে কোন তথ্য পেতে বা ঠিকমত ক্লাস ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য খবরা-খবর রাখতে সবসময়ই সবাই মোবাইল ফোনে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। যদিও মোবাইলের জায়গাটা এখন দখল করে নিচ্ছে ফেসবুক।
বর্তমান সময়ে উচ্চ শিক্ষায় রয়েছে কম্পিউটারের ব্যবহার। অনেক জটিল জটিল কেইস স্ট্যাডি, নির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা ও বর্তমান সময়ের সাথে নিজেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের রয়েছে বহুমাত্রিক ব্যবহার। শুধু ইন্টারনেটে খোঁজ করলেই যে কোন সময় পাওয়া যায় ‘পিডিএফ’ ফরম্যাটে দুর্লভ বই-এর বিশাল সংগ্রহ। যা আমাদের কাছে ই-বুক হিসেবেই পরিচিত।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া মোয়াজ্জেম খোশবু তার লেখাপড়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বলেন, ‘যখনই আমি ইন্টারনেটে কোন তথ্য খোঁজ করি তখনই একই বিষয় সম্পর্কে আরো অসংখ্য তথ্যের লিংক পেয়ে যায় যা ঐ বিষয়টিকেই বিভিন্নভাবে জানতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও যে কোন সময় আমরা চাইলেই অনেক বই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে পারি। ’
বর্তমান বিশ্বের তথ্য ভান্ডার প্রতিনিয়ত পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন হচ্ছে। তাই শুধু বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, লাইফ সায়েন্স সহ শিক্ষার যে কোন শাখাতেই রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার; যা একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষাকে আরো উপভোগ্য করে তুলছে ও আমাদের নিজ নিজ জ্ঞানভান্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলছে।
বর্তমানে ক্লাসরুমকে ডিজিটাল করতে সরকারও উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সব মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ বিনামূল্যে সরবরহের ব্যবস্থা সরকার করার চেষ্টা করছে। সুতরাং শিক্ষার মানকে উপরে দিকে তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর, ২০১১