ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

মমির দেহে বিশ্বের প্রাচীনতম উল্কি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২০, মার্চ ২, ২০১৮
মমির দেহে বিশ্বের প্রাচীনতম উল্কি মমির দেহে বিশ্বের প্রাচীনতম উল্কি

ঢাকা: ট্যাটু বা উল্কি এখন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। পাঁচ হাজার বছর আগেও এর প্রচলন ছিল। সম্প্রতি মিশরের দু’টি মমির দেহে আঁকা উল্কির নমুনা গবেষণা করে এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। 

গবেষকরা যে দু’টি মমির দেহে উল্কির সন্ধান পেয়েছেন, তারা খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৫১ থেকে ৩০১৭ সালের দিকে মিশরে বসবাস করতেন। ১৯০০ সালে মমি দু’টি আবিষ্কার হয়।

এদেরমধ্যে একজন নারী ও অপরজন পুরুষ।  

বিশেষ ইনফ্রারেড ইমেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করে মমি দু’টির দেহ পরীক্ষা করা হয়। এ পদ্ধতিতে মমির দেহে লুকানো অতি সূক্ষ্ম দাগ চিত্রের মাধ্যমে ফুটে ওঠে।  

নারী মমিটির বাহুর উপরের অংশে চারটি উল্কি পাওয়া যায়, যা দেখতে ইংরেজি বর্ণ ‘এস’-এর মতো দেখতে। তাছাড়া পেটে একটি ‘এল’ আকৃতির উল্কির সন্ধান মিলেছে। আর পুরুষের বাহুতে বন্য ষাঁড় ও ভেড়ার আকৃতির দু’টি উল্কি শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।  মমির দেহে বিশ্বের প্রাচীনতম উল্কি

গবেষকরা বলছেন, এগুলোই এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন উল্কি। এ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপা হয় ‘জার্নাল অব আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স’ সাময়িকীতে।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন ব্রিটিশ মিউজিয়ামের নৃ-তত্ত্ববিদ ড্যানিয়েল অ্যান্টোন।  

তিনি বলেন, ভেড়ার উল্কি প্রাচীন মিশরে অনেক ব্যবহার হতো, তবে এর তাৎপর্য পরিষ্কার নয়। আর ষাঁড়ের উল্কি ছিল পুরুষত্ব ও পদমর্দার প্রতীক।  

এরআগে গবেষকরা যে উল্কির সন্ধান পেয়েছিলেন তা প্রায় চার হাজার বছর আগের। প্রাচীন মিশরে উল্কি ব্যবহার হতো সামাজিক মর্যাদা বোঝানো ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য। অনেক মমির গায়েই উল্কি দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।