ঢাকা: ‘মা ও মাতৃভূমি’র প্রতি তরুণ প্রজন্মের ভালোবাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র তৈরী করেছে ‘ফ্লাগ হোল্ডার’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
বুয়েট আর্কিটেকচার বিভাগের ছাত্র নাজমুল হক নাঈম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের আদনান ফয়সল’র যৌথ পরিচালনায় চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ২৫ মিনিট।
শর্টফিল্মটি সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বুয়েট ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১১’তে প্রদর্শন করা হবে । এছাড়াও রাজশাহী কলেজের বরেন্দ্র থিয়েটার আয়োজিত ফ্যাস্টিভ্যালে শর্টফিল্মটি ১৮-২০ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ।
গল্পটির পটভূমি ১৯৭১ সাল । মায়ের কাছে শেষ চিঠি লিখে যুদ্ধে যাচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সবুজ ।
এদিকে একবিংশ শতকের আরেক চরিত্র- অমি যে কিনা রাতভর মোবাইলে কথা বলে অভ্যস্ত । কানে তার ফোন থাকলে ষষ্ট ইন্দ্রি অচল হয়ে পড়ে । প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে যখন সে মত্ত- মায়ের ফোন আসা তখন তার কাছে তিক্ত ।
দ্বান্দিক দুই চরিত্র নিয়ে গল্প যখন গতিশীল তখন এসে হাজির হয় তৃতীয় আরেক চরিত্র- সবুজের বড় ভাই। যিনি অসুস্থ মায়ের জন্যে রক্তের খোঁজে ঘুরে ফিরছেন ক্যাম্পাসে ।
তিনি অনুভব করেন তার ভাই যাদের জন্য মুক্তভূমি আনতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তারা সবুজের মত প্রাণচাঞ্চল্যময় কিন্তু সবুজপ্রাণ নয় । তারা রক্তাক্ত। তারা কোন এক আলেয়ার মোহে মোহাবিষ্ট ।
শর্টফিল্মটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছিলেন নাজমুল হক নাঈম । সহযোগী পরিচালক আদনান ফয়সল । চিত্রগ্রাহক পরিচালক মাসুদ রানা। ভিডিও সম্পাদনায় ছিলেন আসিফ বিল্লাহ্। এতে অভিনয় করেছেন আরজু, কাসেম, রফিক, রায়হান, মাহিন, বিলাস আরও অনেকে।
আদনান বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। সেই সময়ে তরুণদের দেশের প্রতি ভালবাসা আর আন্তরকিতার পরিমাণ ছিল কল্পনাতীত।
তারা দেশের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করতে বিন্দু পরিমাণ পিছু হটত না। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর এই তরুণরাই দেশের জন্য কতটুকু নিবেদিত আমরা তাই দেখাতে চেয়েছি।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১