ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ক্যাকটাস গাছ যখন জীবন্ত বেড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
ক্যাকটাস গাছ যখন জীবন্ত বেড়া

খাগড়াছড়ি: দেশে যে ক্যাকটাসগুলো প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হচ্ছে ফনিমনসা। এরকম আরেকটি ক্যাকটাস হচ্ছে সিরিয়াস পেন্টাগনাস।

এটি মূূলত সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য পরিচিত।

এই সিরিয়াস পেন্টাগনাস ক্যাকটাস খাগড়াছড়িতে পরিচিতি পেয়েছে জীবন্ত বেড়া হিসেবে। লম্বা, শক্তিশালী গাছটি এখন বাড়ির বাউন্ডারিতে দেয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।



খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিনালা বাবুরাম মারমার বাড়ি ও মনাটেক গ্রামের কয়েকটি বাড়ির চারপাশে এই সবুজ ক্যাকটাস গাছ লাগিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল দিয়েছেন বাড়ির মালিকেরা।

ক্যাকটাস দিয়ে বেড়া দিলে মানুষ, গরু, ছাগলসহ সব ধরনের প্রাণি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর এই ক্যাকটাস একবার লাগালে আপনা আপনি বড় হয়ে যায়। তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন পড়ে না।



স্থানীয় বাসিন্দা রত্না উজ্জ্বল চাকমা জানান, চাকমা ভাষায় এই ক্যাকটাসকে আমরা ‘ধামানাকাতা’ বলি। বর্ষার পরে ক্যাকটাসে সুন্দর ফুল ফোটে। চৈত্র মাসের দিকে ডাল কেটে পুতে দিলেই গাছ হয়ে যায়। এটি এখন এলাকায় কমবেশি অনেকে বাড়ির চারপাশে বেড়া হিসেবে লাগাচ্ছে।

বাবুরাম মারমা জানান, বাড়ির আঙ্গিনায় ১৮-২০ বছর আগে এই ক্যাকটাস গাছ লাগাই। গাছের কারণে এখন বাড়িতে বাউন্ডারি ওয়াল দিতে হয়না। এগুলো অনেক বড় হয়েছে যার ফলে বাইরে থেকে ভেতরে কিছু দেখা যায় না। এতে করে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ছে এবং দেওয়ালের কাজেও হচ্ছে। ক্যাকটাস গাছের তেমন কোনো রোগ বালাই হয় না।



খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুন্সী রাশীদ আহ্মদ বাংলানিউজকে জানান, এটি মূল সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়। দেশে অনেক এলাকাতে এই ব্যবহারটা প্রচলিত আছে। তবে এটি জীবন্ত বেড়া হিসেবে কার্যকরী একটি উদ্ভিদ বলে জানান কৃষি গবেষণা বিভাগের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০২১
এডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।