৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রূপকার তিনি। তাই বড়সর একটা সংবর্ধনা তো প্রাপ্যই! নিজ গ্রামে ফিরে তেমনই এক সংবর্ধনা পেলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ফ্রান্সকে টাইব্রেকারের ৩(৪)-৩(২) ব্যবধানে হারানোর মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি স্কালোনি। অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। চার বছর আগে বিধ্বস্ত এক দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তার চাকরি পাকাপাকি হওয়ার পর সমালোচনাও হচ্ছিল বেশ। কিন্তু অনভজ্ঞিতা সত্ত্বেও সেই দলটিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য বানিয়ে ফেলেন তিনি। একে একে অর্জন করেন কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ শিরোপা।
গ্রামে ফিরে স্কালোনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল আমি সব চোখের পানি ফেলে দিয়েছি, তবে এখনো আমার আবেগ আছে। এখানে শহর ও আশেপাশে এলাকার লোকেদের দেখতে পাচ্ছি। এই অর্জন সবার। কোনো ক্লাব বা ব্যক্তিগত কারো নয়, এটা পুরো দেশের। এই দল দেশের মানুষের জন্য খেলেছে। ’
আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশের পুহাতো গ্রামে জন্ম ৪৪ বছর বয়সি স্কালোনির। গ্রামটির জনসংখ্যা ৪ হাজারেরও কম। কয়েক সপ্তাহ আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান গ্রামটির এক যুবক। শোকের চাদরে মোড়ানো পুহাতো তাই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে খুব একটা আনন্দ করতে পারেনি।
স্কালোনিও সেই মর্মান্তিক মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিলেন। বিশ্বকাপের মাঝেই তা নিয়ে শোক প্রকাশ করেন তিনি। স্কালোনির এই অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই গর্ববোধ করছে পুহাতোবাসী। গ্রামে ফেরার পর স্কালোনিকে প্লাক দিয়ে সম্মানিত করে তারা। পরে কমিউনিটি প্রেসিডেন্ত দানিয়েল কুয়াকুয়ারিনি ঘোষণা দেন স্কালোনির নামে একটি রাস্তার নামকরণ করার। সেখানকার আতলেতিকো স্পোর্তিভো মারিয়েনসো ক্লাবে অবশ্য আর্জেন্টিনার এই কোচের ম্যুরাল আছে। যেই ক্লাব দিয়ে ফুটবলে প্রথম পা রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এএইচএস