নতুন কোচ রবের্তো মার্তিনেসের অধীনে যেন নিজেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরপর দুই ম্যাচে পেলেন জোড়া গোলের দেখা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এনিয়ে রোনালদোর গোলসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১২২-এ। এর মধ্যে লুক্সেমবোর্গের বিপক্ষেই ১১ টি। দলটিকে সামনে পেলে কখনো নিষ্প্রভ থাকেন না। কেননা যেকোনো প্রতিপক্ষের চেয়ে তাদের বিপক্ষেই বেশি গোল করেছেন তিনি। লুক্সেমবোর্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নবম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। নুনো মেন্দেসের হেড থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় তা জালে পাঠান তিনি।
১৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোয়াও ফেলিক্স। বের্নার্দো সিলভার মাপা ক্রসে দুর্দান্ত হেডে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। তিন মিনিট পর আবারও হেডে গোল পায় পর্তুগাল। এবার অবশ্য গোলদাতা সিলভা নিজেই। জোয়াও পালিনিয়ার থ্রু বলে মাথা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল করেন এই মিডফিল্ডার। যা প্রথমার্ধে আরও চাপে ফেলে দেয় লুক্সেমবোর্গকে। স্বাগতিকরা তাই বিরতির আগে হজম করে আরও এক গোল। ৩১ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের বাড়ানো বল খুঁজে নেয় ডি বক্সে থাকা রোনালদোকে। বাঁ প্রান্তের নিচু কর্নার দিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ফলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে অতোটা ধারালো ছিল না সফরকারীরা। ৫৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ৬৬ মিনিটে বদলি করান কোচ মার্তিনেস। মাঠে নামান বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা গনসালো রামোসকে। কিন্তু এবার খালি হাতেই ফিরতেই হয় তাকে। তবে ওতাবিওর দিনটা ছিল ব্যতিক্রম। মাঠে নামার দুই মিনিটের ভেতর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান তিনি। রাফায়লে লেয়াওয়ের ক্রস থেকে তার হেড ব্যবধান বাড়িয়েছিল পর্তুগালের। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগিজরা, কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেননি লেয়াও। চার মিনিট পরই অবশ্য দারুণ এক গোলে শাপমোচন করেন তিনি। পিছিয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজে পায়নি লুক্সেমবোর্গ। তাই ঘরের মাঠে বড় হারের স্বাদ পেতে হয় তাদের।
বাংলাদেশ সময় : ০২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এএইচএস