ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

ফুটবল

মাজিয়ার বিপক্ষে হারে শুরু কিংসের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
মাজিয়ার বিপক্ষে হারে শুরু কিংসের

এএফসি কাপের গ্রপ পর্বের প্রথম মাচে আজ মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল পায়নি কিংস।

হেরেছে ৩-১ গোলে।

প্রথমার্ধে মাজিয়ার তারকা ফুটবলার বালবানোভিচের চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় মাজিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে আচমকা শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন হাসান নাজীম। অন্য গোলটি করেন আলি ফাসির। বসুন্ধরার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

ম্যাচের আগে থেকেই ফেভারিট তকমা ছিল কিংসের গায়ে। জয় বিকল্প কিছু ভাবছিলেন না বসুন্ধরা কিংসের কেউই। দলের কোচ অস্কার ব্রুজোন ম্যাচের আগের দিন ছিলেন আত্মবিশ্বাসী; জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী হওয়ারই কথা। মাজিয়ার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচেই জয় ছিল বসুন্ধরার। তবে তেমনটা হলো না এবারের ম্যাচে।  

হারলেও ম্যাচের পুরোটা সময়ই দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বসুন্ধরা। রক্ষণ থেকে আক্রমণে পুরোটা সময় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে কোচ অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। তবে অল্প সুুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগিয়েছে মাজিয়া।

ম্যাচের পাঁচ মিনিটে রবসনের কর্নার থেকে হেড করেন দোরিয়েলতন। মাজিয়ার গোলরক্ষক হোসেন শরিফ তা তালুবন্দী করেন। তিনি মিনিট পরে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল কিংস। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে হেড করেন দোরিয়েলতন। তা ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

১৪ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন দোরিয়েলতন গোমেজ। সতীর্থের লং ক্রস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা।

পরের মিনিটে বালবানোভিচের সেই চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় মাজিয়া। বক্সের বাইরে বল পজিশন হারায় কিংস। বক্সের বেশ বাইরে বল পেয়েই ডান পায়ের বুলেট গতির লং শটে দলকে এগিয়ে দেন বালবানোভিচ। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কিংস। একের পর এক আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয়েছে কিংসকে।

বিরতির পর গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কিংস। একের পর এক আক্রমণে মাজিয়ার ডিফেন্সের কঠিন পরীক্ষাই নিচ্ছিলেন দোরিয়েলতন-রাকিব-মেরাসালিনরা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন মাজিয়ার গোল রক্ষক হোসেন শরিফ। দোরিয়েলতন গোমেজ বক্সের ভেতর দুই ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দিয়ে ক্রস করেন রাকিবের উদ্দেশে। রাকিবের হেড অতিমানবীয় দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন হোসেন শরিফ। ফিরতি বলে সাদের হেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন সেবাস্তিয়ান অ্যান্তেজ।

উল্টো ৬৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে মাজিয়া। ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল হেডে ক্লিয়ার করতে চেষ্টা করনে দোরিয়েলতন; এরপর রাকিবের হেড। সেখান থেকে আবারও দোরিয়েলতনের হেড থেকে বল পেয়ে যান বদলি নামা হাসান নাজীম। আচমকা শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।

৭৮ মিনিটে রবসনের ক্রস থেকে দোরিয়েলতনের হেড ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে সোহেল রানার গতিময় শটও উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট দোরিয়েলতেনর হেড সহজেই তালুবন্দী করেন মাজিয়া গোলরক্ষক।  

ম্যাচের যোগ করা সময়ে আলি ফাসিরের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে মাজিয়া। পরের মিনিটে ইব্রাহিমের গোল শুধুই ব্যবধান কমায় কিংস। হেড থেকে মাজিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইব্রাহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।