ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

ফুটবল

এএফসি কাপ

দোরিয়েলতনের জোড়া গোলে কিংসের জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
দোরিয়েলতনের জোড়া গোলে কিংসের জয়

মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার বিপক্ষে হারের বেদনা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় করেছিল বসুন্ধরা কিংস। এর প্রমাণ মাঠেই দিল বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও এএফসি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব ওড়িশা এফসিকে হারিয়েছে ৩-২ গোলে। জোড়া গোল করে জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন দোরিয়েলতন গোমেজ। অন্য গোলটি আসে মিগেল ফেগেরার কাছ থেকে।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। তবে ঘরের মাঠে আজ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল বসুন্ধরা কিংস। সেটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছে কোচ অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।

ম্যাচের আগে থেকেই আলোচনায় ছিল কিংস অ্যারেনা। যেখানে হারের রেকর্ড নেই  কিংসের। সেই রেকর্ড অক্ষুণ্নই রইল।  

শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই দারুণ এক গোলের সুযোগ তৈরি করে বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠ থেকে রবসনের থ্রু বল পান দোরিয়েলতন। তার শট তালুবন্দী করেন ওড়িশার গোলরক্ষক আমরিন্দর সিং।

১৭ মিনিটে মিগেলের ফ্রি কিক থেকে হেড করার চেষ্টা করনে দোরিয়েলতন। তবে ঠিকঠাক মাথা ছোয়াতে পারেনি তিনি। মাথার পেছন দিকে বল লাগলেও পোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়া বল রুখে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক।

১৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল হজম করে বসে বসুন্ধরা কিংস। ওড়িশার দিনলিয়ানার বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে যান দিয়েগো মারিকো। ডান পায়ের শটে দলকে লিড এনে দেন তিনি।

৩২ মিনিটে নিশ্চিত গোল হাতছাড়া হয় বসুন্ধরার। রাকিবের পাস থেকে বল পান মিগেল, তিনি বল বাড়িয়ে দেন বক্সের ভেতর থাকা দোরিয়েলতনের কাছে। দুই ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে কাটব্যাক করন তিনি। বল পান রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের জোরালো শট ব্লক করে দেন ‍ওড়িশার ডিফেন্ডার দিনলিয়ানা।

ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি বসুন্ধরা কিংস। ৩৮ মিনিটে ‍মিগেল দামাসেনার গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। গোললাইন থেকে রবসনের চিপে মিগেলের খুঁজে নেয় জাল।
 
এরপর প্রথমার্ধের শেষ মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। মাঝমাঠ থেকে রাকিবে উদ্দেশ্যে থ্রু বল বাড়িয়ে দেন বিশ্বনাথ ঘোষ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে হেডে দলকে এগিয়ে দেন (২-১) দোরিয়েলতন গোমেজ।  

প্রথামার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কিংস। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে দোরিয়েলতনের গোলে ব্যবধান ৩-১ করে বসুন্ধরা কিংস। রবসনের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান দোরিয়েলতন। ডান পায়ের জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।  ৬৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় জেরি  লালজুয়ালা। সাকামতির শট ফিরিয়ে দিলে রিবাউন্ড বলে শট করে বল জালে জড়ান জেরি (৩-২)। ৬৮ মিনিটে এক প্রচেষ্টায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন রবসন। ওড়িশার চার ফুটবলারকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে রবসন। তবে তার শট পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।  

৭৩ মিনিটে দারুণ এক  সুযোগ মিস করেন দোরিয়েলতন। ওড়িশার দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন কিংসের দুই তারকা রবসন এবং দোরিয়েলতন। রবসনের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি দোরিয়েলতন। শেষ দিকে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনও দলই।


বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩
এআর/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।