প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স, এরপর গোল হজম পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্সিসকো কন্সেইসাও ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে নেন। তবে এর মাত্র সাত মিনিট পরেই বদলি হিসেবে নামা ফ্রান্সিসকো কন্সেইসাও নিজের দ্রুত গতির ড্রিবল ও চোখধাঁধানো শটে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান। ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পর্তুগাল। ৬৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্দেসের পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি তার ১৩৭তম গোল, আর চলতি নেশন্স লিগে ৮ ম্যাচে ৭ম।
এই জয়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষারও অবসান হয়েছে পর্তুগালের। ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জার্মানিকে হারাতে সক্ষম হলো তারা। সেবার ইউরোর গ্রুপ পর্বে জার্মানিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিলেন সের্জিও কন্সেইসাও। এবার তারই ছেলে ফ্রান্সিসকো বড় মঞ্চে গড়ে দিলেন আরেক স্মরণীয় মুহূর্ত।
ম্যাচের শেষ দিকে জার্মানি কিছুটা জোরালোভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করে। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে দুর্দান্ত ডাবল সেভ করেন টের স্টেগেন, ঠেকান দিয়োগো জটা ও কন্সেইসাওয়ের শট। যোগ করা সময়েও জটার আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
তবু জয় আটকাতে পারেনি জার্মানিকে। পিএসজির হয়ে কয়েকদিন আগেই এই মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আনন্দ পাওয়া চার পর্তুগিজ ফুটবলার এবার দেশের জার্সিতে আরেকটি ট্রফির দ্বারপ্রান্তে। আগামী রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ফ্রান্স ও স্পেন এর মধ্যকার জয়ী দল।
আরইউ