এর আগে আশি বছর বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে হারেনি ব্রাজিল। হারেনি এবারের আসরেও।
শুরুটা যেমনই হোক যেহেতু সবাই জানেন ব্যাপারটা ব্রাজিল এমনই এক দল যারা এক গোল খেলে দুই ফিরিয়ে দিতে পারে, দুই গোল খেলে তিন, অথবা চার। খেলার ফলাফল শেষমেশ তাই, ৩-১ এর পরিষ্কার জয়।
ব্রাজিল খেলছিলো ৪-২-৩ ফরম্যাটে। চার ডিফেন্স নিয়েও এই অবস্থা। মারসেলোর গোল খাওয়ানোর পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিলো আরও দু'একবার অন্য ডিফেন্ডারের ভুলে। অথচ আক্রমনভাগ ছিলো তাদের সেরা ফর্মে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে এলবোয়িং করে হলুদ কার্ড খাওয়া নেইমার জুনিয়র যে এত তাড়াতাড়ি ম্যাচটাকে কন্ট্রোলে নিয়ে আসবেন তা ভেবেছিলো কয়জন?
কার্ড পাওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বাঁ পায়ে মারা দূরপাল্লার গ্রাসকাটার শটে যে গোলটা করলেন বাইশ বছরের এই তরুণ তার ব্যাখ্যা কিভাবে দেবেন! এটাকে কি জ্যামিতিক শট বলবেন নাকি ক্যালকুলেটেড অথবা ইঞ্জিনিয়ার্ড? তবে গোলটা যেভাবেই দেখেন আর লেখেন এই গোলই একটা করুণ শুরু থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপকে। আগের দিন লিখেছিলাম না 'বত্রিশের চক্করে বিশ্বকাপ' ? - কাকতালীয়ভাবে সংখ্যা ৩২-ই গুরুত্ব নিয়ে হাজির হলো আবার।
এটা ছিলো ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের ৩২তম আন্তর্জাতিক গোল। এ খেলায় পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় যে গোলটি পেয়েছেন এই সুপারস্টার তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেফারির ভুল হিসেবেই দেখছেন এটাকে অনেক মানুষ। তাই যদি হয় তাহলে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে দুই ডিফেন্ডারের ভিতরে স্যান্ডউইচ'ড্ হয়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার অভিনয়ে রেফারির এমন সিদ্ধান্ত আদায় করে নেওয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে ফ্রেডকে।
এই খেলায় আমার চোখে আসল ব্রাজিলিয়ান হিরো কিন্তু ওস্কার। অসাধারণ সব ডিসট্রিবিউশন, পাস আর ডেলিভারি দিতে দিতে যখন ক্লাসিক্যাল তৃতীয় গোলটা করে ফেললেন, ম্যাচটা পুরোপুরিই হয়ে গেল নেইমার-ওস্কার শো!
বাংলাদেশের আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের সাথেই যেনো মিশে আছে। পাঠকদের জন্য সুখবর, বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো রয়েছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।
** বত্রিশের চক্করে বিশ্বকাপ॥ ফরহাদ টিটো
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪