ঢাকা: টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়ার দৃঢ়টায় প্রথমার্ধে গোল শুন্য শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল আদায়ের মিশনে দু’দলই খেলে যাচ্ছে।
প্রথমার্ধে মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়া দুর্দান্তভাবে কয়েকটি গোল সেভ না করলে হয়তো ৩-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারতো ব্রাজিল।
খেলার শুরুতেই নেইমারকে ফাউল করে গ্যালারির উত্তেজনা যেন বাড়িয়ে দিয়েছেন মেক্সিকো। এরপর আরো তিনবার রেফারির বাঁশি। ব্রাজিলের ডি-বক্সের ভেতরে দ্রুত একটি আক্রমণও করে মেক্সিকো। তবে তা ব্যর্থ চেষ্টা।
পাল্টা আক্রমণে অস্কারের পাস থেকে ফ্রেড ঠিকভাবে পায়ে লাগাতে পারলে প্রথম গোল উৎসব করতে পারতো ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের রেমিরেসের পরিবের্তে নামানো হয়েছে বার্নাডকে। এর আগে রেমিরেসকে হলুদ কার্ড হজম করতে হয়েছে।
প্রথমার্ধ জুড়েই ব্রাজিলের একটার পর একটা আক্রমণ রুখে দেয় মেক্সিকো। এর পুরো অবদানটাই মেক্সিকান গোলকিপার ওচোয়োর বলা চলে। কারণ তার দক্ষ গোলকিপিংয়ের কারণে কমপক্ষে ৩টি গোল থেকে রক্ষা পেয়েছে মেক্সিকো।
বিশ্বকাপের ২০তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল-মেক্সিকো দু’দলই জয় পেয়েছেন। ‘এ’ গ্রুপের আজকের খেলায় যে দল জয় পাবে তাহলে বলা যায় দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখা মোটামুটি নিশ্চত। এদিক দিয়ে শক্তি এবং পরিসংখ্যানের বিচারে ব্রাজিলের সম্ভাবনা বেশি।
বুধবার দিবাগত রাত ১টায় ব্রাজিলের ফোর্তালেজা শহরের কেস্তেলাও স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে দু’দলই সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। মেক্সিকো শিবিরের যেমন রয়েছে নেইমার-অস্কার আতঙ্ক, অন্যদিকে ব্রাজিলও চিন্তিত সান্তোষকে নিয়ে।
সর্বশেষ দেখায় কনফেডারেশ কাপে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। তবে শেষ দশবারের লড়াইয়ে এগিয়ে নেই কোনো দলই। দু’দলেরই জয় ৪টি করে, বাকি দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪