ঢাকা: প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর সঙ্গে গোল শূণ্য ড্র ব্রাজিলের। ধাক্কাই বটে।
খেলা শুরুর আগে ফোর্তালেজা মাঠে ব্রাজিল সমর্থকরা যেখানে কয় গোলে জিতবে সেই চিন্তায় মগ্ন ছিল নির্ধারিত সময় শেষে সব ওলট-পালট। স্বাগতিকদের হতাশার সাগরে ভাসিয়ে মাঠ ছাড়লো নেইমার, ফ্রেড, অস্কারেরা।
সবকিছু লন্ডভন্ডের পেছনে একজনই দায়ী সে আর অন্য কেউ নয়- মেক্সিকোর গোলরক্ষক ফ্রান্সিসকো গুইলারমো ওচোয়া।
ওচোয়া ঝড়ে ব্রাজিল এভাবে ভেঙে খানখান হবে এটা কি কেউ ভেবেছে আছে। আসলেই না। কিন্তু ওই ওচোয়াই গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্যে। নয়তো ম্যাচের প্রথমার্ধে অ্যালভেসের ক্রস থেকে নেইমার বার ঘেষে বলে যে হেড করলেন তাতো নিশ্চিত গোলই ছিল। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে গোল পোস্টের কয়েক গজ দূর থেকে বলে দলপতি সিলভার হেডও রুখে দিলেন ওচোয়া।
এর মাঝে মেক্সিকান গোল পোস্টে আরো বেশ কয়েকটি জোরালো শট নিয়েছিল কোচ স্কলারির শীর্ষরা। সবই প্রতিহত হয়েছে ২৮ বছর বয়সী ওচোয়ার হাতে। কখনো পাঞ্চ করে কখনো বা পুশ করে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমন রুখে দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরি করেন এই মেক্সিকান।
ম্রিয়মান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফ্রেড বার কয়েক অফসাইড হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ স্কলারি। বদলি হিসেবে নামেন স্ট্রাইকার জো। তবে ওই বদলিও সঠিক হয়নি। যে কারণে ভাঙা যায়নি ওচোয়ার দেয়াল। তাই তো এই দলের খেলা শেষে ম্যাচ হিরো নেইমার বা অস্কার নয়। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকই পেয়েছে দর্শকদের বাহ্বা।
বিরতির পর থেকে কখনোই মনে হয়নি মেক্সিকো স্বাগতিকদের সঙ্গে পরাজয় বা পয়েন্ট ভাগাভাগির দৌড়ে নেমেছে। বরং মেক্সিকান কোচ দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড তারকা হ্যাভিয়ান হার্নান্দেজকে নামিয়ে ব্রাজিল গোলকিপার জুলিও সিজারকে ভালোই চাপে রাখেন। হার্নান্দেজ যখন দ্রুতগতিতে বল নিয়ে ব্রাজিলের বিপদসীমায় ঢুকে যান তখন দলপতি সিলভা মারাত্মকভাবে ট্যাকল করে প্রতিপক্ষকের স্ট্রাইকারকে রুখতে যান। বিনিময়ে জোটে হলুদ কার্ড। হলুদ কার্ডের বিনিময়ে হলেও রক্ষা পায় ব্রাজিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
স্বাগতিকরা হতাশ করলেও ওচোয়ার পারফরম্যান্সের নান্দনিক ডিসপ্লেতে মুগ্ম ছিল ফোর্তালেজার দর্শকেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘন্টা, জুন ১৮, ২০১৪