ঢাকা: বুধবার মধ্যরাতের ম্যাচে খেলেছে ব্রাজিল-মেক্সিকো, তবে জিতেছেন ওচোয়া। নেইমার, অস্কার, ফ্রেডদের সামনে ওচোয়া ছিলেন কাচের দেয়াল, যা দেখা যায় তবে ভেদ করা যায় না।
অপরদিকে রাশিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে সহজ গোল রুখতে না পেরে ভিলেন বনে গেছেন রাশিয়ান গোলরক্ষক আকিনফেভ। ২৫ মিটার দূর থেকে লি কিউন হো’র নেওয়া স্ট্রেইট শর্ট তার ভুলেই ঢুকে যায় জালে। পরে শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত সেই গোলের কারণেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাশিয়ানদের।
ব্রাজিল-মেক্সিকো ম্যাচের বাজি ছিল সমানে সমান। মেক্সিকো সেটা প্রমাণ দিল গোলরক্ষক ওচোয়ার দৃঢ়তায়। নেইমারের দুটি এবং পলিনহো, থিয়াগো সিলভার দারুণ চারটি শর্ট কখনো উড়ে, কখনো মাটি কামড়ে সেভ করেন ওচোয়া।
অধিনায়ক সিলভা ভেবেছিলেন শেষ মুহূর্তে দারুণ একটি হেড দিয়ে জিতে নেবেন ম্যাচটি। তবে মেক্সিকানদের ‘ঈশ্বর’ বনে যাওয়া ওচোয়া আবারও সেখানে ত্রাণকর্তা।
আমি বিশ্বাস করি এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ম্যাচ। কারণ এটা ছিল বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ এবং ম্যাচটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলছিলেন ওচোয়া।
মেক্সিকান কোচ মিগেল ম্যাচ শেষে বলেন, আমি জানি আমার কেন মনে হচ্ছিল আমার স্মৃতিতে অন্য কোনো গোলরক্ষক হানা দিচ্ছিল…কেউ হয়তো এমনটি করে দিচ্ছে, যেটি আসলে সে (ওচোয়া) করেছে।
ব্রাজিলিয়ান কোচ ফেলিপ স্কোলারিও ওচোয়াকে প্রশংসায় ভাসান। তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার নৈপূণ্য ছিল দেখার মতো।
অপরদিকে গ্রুপ এইচে প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে রাশিয়ান গোলরক্ষক আকিনফেভের ‘ভুল’কে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে দেখছেন সমালোচকরা।
তাদের মতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আকিনফেভ একটি গোল উপহার দিয়েছেন। লি কুন শর্ট নিয়েছিলেন বটে তবে সেটিকে নিজের জালে জড়ানোর কৃতিত্ব সবাই দিয়েছেন গোলরক্ষক আকিনফেভকে।
তবে ম্যাচ শেষে রাশিয়ান কোচ ক্যাপেলোর বক্তব্য, আকিনফেভ দারুণ একজন গোলরক্ষক। তবে অবশ্যই একজন গোলরক্ষকের ভুল হতে পারে। কেউ ভুল করে পেনাল্টিও পেতে পারে। ভুল করা একজন গোলরক্ষকের জন্য বৈধ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪