আজ আবার আর্জেন্টিনার খেলা। নাইজেরিয়ার সঙ্গে ।
শুরুতে যে বলছিলাম, হারুক-জিতুক তাতে কিছুই যায়-আসেনা আর্জেন্টিনার... পরবর্তী রাউণ্ডে কোয়ালিফিকেশনের ক্ষেত্রেই কথাটা কেবল প্রযোজ্য। আত্মবিশ্বাস বা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে নয়। কোনোভাবে যদি অঘটন ঘটে যায় আর্জেন্টিনার বেলায়, অবশ্যই তা দলের কনফিডেন্স লেভেলকে অনেকটা নিচে নামিয়ে আনবে। ড্র হলেও তা হবে না তাদের সামর্থ্যের যথাযথ প্রতিফলন। সুতরাং জয়, জয়, জয়... এছাড়া আর কিছুই নিশ্চয় ভাবছে না চ্যাম্পিয়নশিপ ক্যান্ডিডেট আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশগুলোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার যে ইতিহাস তা খুব একটা স্বস্তিদায়ক না। '৯০ সালে প্রথম দেখা ওদের আফ্রিকান কোনো দলের সঙ্গে। শুরুটাই হয়েছিলো পরাজয় দিয়ে! ম্যারাডোনায় ভাস্বর সেই আর্জেন্টিনা উদ্বোধনী ম্যাচেই ০-১ এ হেরে গিয়েছিলো সারপ্রাইজিং ক্যামেরুনের কাছে।
চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ২৫ জুনে অর্থাৎ আজ থেকে কাঁটায় কাঁটায় বিশ বছর আগে নাইজেরিয়াকে প্রথমবার পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তা ছিলো জাতীয় দলের হয়ে গ্রেট ম্যারাডোনার খেলা জীবনের শেষ ম্যাচ। যদিও ২-১ এর ব্যবধানে কষ্ট করেই জিততে হয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে সেই খেলায় । ২০০২তে আবার একই গ্রুপে পড়ে যায় এই দুই দল । খেলার ফল ছিলো, আর্জেন্টিনা ১ নাইজেরিয়া ০ ।
২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার আফ্রিকান প্রতিপক্ষ ছিলো কোত দি ভোয়া বা আইভরি কোস্ট। ঐ ম্যাচেও সর্ব নিম্ন ব্যাবধানে(২-১) জিততে হয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে।
বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার সঙ্গে তাদের শেষবার দেখা হয় সাউথ আফ্রিকায় ২০১০ এ। খেলায় আর্জেন্টিনাই জিতেছিলো । তবে ফল আবারো ১-০।
শুধু ইতিহাস আর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে কখনোই মনে হবে না আজকের খেলাটা সহজ হবে আর্জেন্টিনার জন্যে। তাছাড়া আর্জেন্টিনার এই দলটা তাদের ইতিহাসের সেরা দলও না । মূলতঃ মেসি-নির্ভর এই দলের গত দুই খেলার পারফরম্যান্সকে একশ'তে সত্তুরও দেওয়া যাবে না। তার উপর থাকছে নাইজেরিয়ানদের ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ!
তারপরও যেহেতু পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার, চাপে থাকার কোনো কারণ নেই তাদের। আর আগের দুই খেলায় গোল পাওয়া লিওনেল মেসি তার জন্মদিনের কেকও কেটেছেন একদিন মাত্র আগে। জন্মদিনকে বিশ্বময় কোটি ভক্তের সামনে সেলিব্রেট করার প্রচণ্ড ইচ্ছা যদি জেগে ওঠে তার মাথায় তবে কে জানে কি হয়।
কোনোরকমে জেতার ইতিহাসটা তো পাল্টেও যেতে পারে আজ!
বাংলাদেশের আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের সাথেই যেনো মিশে আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো লিখছেন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশ সময় ১০৫০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪