ঢাকা: লিওনেল মেসি এবং দিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টাইন দুই ফুটবল জাদুকর। তবে মেসিকে ভালবাসে আর্জেন্টিনার সকল সমর্থক।
আর্জেন্টিনার বর্তমান অধিনায়ক মেসিকে ডাকা হয় ‘সংগীতের ছন্দ বালক’ বলে। যিনি খুব ছোটতেই ফুটবলের সঙ্গে নিজেকে জড়ান। কঠোর পরিশ্রমী মেসিকে এনে দিয়েছে বিশ্বসেরা ফুটবলারের খেতাব। বিভিন্ন সময়ে কর পরিশোধ করার মাধ্যমে তিনি হয়েছেন শহরের রোল মডেল।
নিজ শহরে এবং বাসায় তাকে ডাকা হতো ‘হুলফুটানো ক্ষুদ্র পোকা’ বলে।
আর আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার ম্যারাডোনাকে ডাকা হয় ‘ব্যাড বয়’ বলে। তিনি নিজের খেলাটাকে সহজ করার জন্যই পরিশ্রম করতেন। ম্যারাডোনা কোকেইন আসক্ত ছিলেন। যে কারণে তাকে একটি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছিল। অতিরিক্ত অ্যালকোহল নেওয়ার কারণে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেবার পর তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগেছিলেন। হেপাটাইটিস এবং গ্যাসট্রিক বাইপাসের সম্যায় তাকে ভুগতে হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় ম্যারাডোনা ইতালিয়ান সরকারকে কর ফাঁকি দিয়েছিলেন।
শুধু নিজ শহরই না, পুরো আর্জেন্টিনায় তাকে ডাকা হয় ‘ফুটবলের ঈশ্বর’ বলে।
শনিবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ‘হুলফুটানো ক্ষুদ্র পোকা’ এবং ‘ফুটবলের ঈশ্বর’ দু’জনেরই মিল রয়েছে একটি জায়গায়। সেটি হল তারা দু’জনই চান এবারের বিশ্বকাপকে নিজ দেশে নিয়ে যেতে।
দেশের হয়ে ম্যারাডোনা খেলেছেন ৯১টি ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৪টি। আর মেসি আজকের ম্যাচ দিয়ে দেশের জার্সি গায়ে খেলবেন ম্যারাডোনার সমান ৯১তম ম্যাচ। আর ইতোমধ্যেই তিনি গোল করেছেন ৪২টি। তবে দু’জনের মাঝে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের স্বাদ। যা ম্যারাডোনা পেয়েছেন, আর মেসি তা পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ৫ জুলাই ২০১৪