ঢাকা: শিরোনামই অনেককে চমকে দিতে পারে। মেসি আবার কোন দিক দিয়ে ম্যারাডোনার সমান হলেন? যবে থেকে তার পা আন্তর্জাতিক ফুটবলে পড়েছে, তখন থেকেই ম্যারাডোনার সঙ্গে তার তুলনা উঠেছে।
হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই শনিবার মেসি নামছেন ম্যারাডোনার সমান হতে। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চড়িয়ে ম্যারাডোনা মাঠে নেমেছিলেন মোট ৯১ বার। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলতে নামলেই ম্যাচ সংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলবেন ম্যারাডোনাকে।
এছাড়া, বেশ কিছু কারণে মেসি ম্যারাডোনার সমান হতে পারেন। ম্যারাডোনা মানে ১৯৮৬ সাল, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়। সেবার সিনিয়র জাদুকরের জাদুতে বিশ্বকাপ জিতেছিল নীল-সাদা জার্সিধারীরা। চলতি বিশ্বকাপেও একইভাবে চলছে জুনিয়র জাদুকরের জাদু।
কিছু তথ্যে চোখ বুলিয়ে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বকাপে চার ম্যাচের দু’টিতে মেসির অতিরিক্ত সময়ের গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত বিপক্ষের জালে আর্জেন্টিনা বল জড়িয়েছে মোট ছয়বার, তার মধ্যে মেসির গোলই চারটি। শেষ ম্যাচেও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ডি মারিয়ার শেষ মুহূর্তের গোলটি আসে মেসির পাস থেকেই।
আর ইতিহাস বলছে, ৮৬ সালে বেলজিয়ামের সঙ্গে সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু ফুটবল দেবতার পক্ষপাতটা সেবার ছিল আর্জেন্টিনার প্রতি। ম্যাচে ম্যারাডোনার অসাধারণ নৈপুণ্যে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। তারপর বাকিটা সবার জানা- বিশ্বকাপ জিতে সেবার বাড়ি ফেরে ম্যারাডোনার দল।
মেসির জন্যও যেন একই চিত্রনাট্য লিখতে যাচ্ছেন ফুটবল দেবতা। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আবারও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি বেলজিয়ামের সামনে। মাঝখানে গত হয়েছে ছয়টি বিশ্বকাপ। সালটা শুধু ২০১৪ আর সেমিফাইনালের জায়গায় কোয়ার্টার ফাইনাল।
তবে, দেশের নাম যখন আর্জেন্টিনা, তখন তাদের আবেগ-উন্মাদনা শেষ হয় ম্যারাডোনা ও বিশ্বকাপে গিয়ে। এই দু’টো শব্দ যেন তাদের কাছে সমার্থক। ‘তুমি হতে পার চার বারের ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার, বার্সেলোনার প্রাণভোমরা কিংবা ভিনগ্রহের বাসিন্দা- তুমি বিশ্বকাপ জেতাতে পেরেছ কি?’
আর্জেন্টাইনদের এতদিনকার উহ্য প্রশ্নটির জবাব মেসি ব্রাজিল বিশ্বকাপের মাধ্যমে দিয়ে চলেছেন। দেশবাসীসহ বিশ্বের কোটি ভক্তরাও নিশ্চিন্তে তার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। আর মাত্র তিনটি ধাপ। মেসি কি পারবেন ম্যারাডোনার সমান হতে?
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৪