ঢাকা: সুয়ারেজের কাছে একসঙ্গে দু’টি পুরস্কার হাতছাড়া করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার ‘পিচিচি’ অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়েও ছিটকে গেছেন।
ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশের শীর্ষ লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের হাতে ওঠে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট অ্যাওয়ার্ড। লা লিগায় সদ্য শেষ হওয়া ২০১৫-১৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার হয়ে ৪০টি গোল করেন সুয়ারেজ। রোনালদোর চেয়ে পাঁচটি বেশি।
ইউরোপের মধ্যে কেউই সুয়ারেজকে টপকাতে পারেননি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কীর্তি অর্জন করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে গোল্ডেন বুট তুলে দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে রোনালদোর সমান ৩১টি গোল করে যৌথভাবে এ মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন সুয়ারেজ।
এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নাপোলির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন, যিনি মৌসুমের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে গোল সংখ্যাটা ৩৬-এ নিয়ে যান। এদিকে, ইংলিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেন ২৫ গোল নিয়ে তালিকার নবম স্থানে। তার উপরেই অবস্থান করছেন তিনবারের গোল্ডেন বুটজয়ী লিওনেল মেসি।
এক নজরে শীর্ষ দশ: লুইস সুয়ারেজ (৪০, বার্সেলোনা), গঞ্জালো হিগুয়েইন (৩৬, নাপোলি), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৩৫, রিয়াল মাদ্রিদ), জোনাস (৩২, বেনফিকা), রবার্ট লেভানডফস্কি (৩০, বায়ার্ন মিউনিখ), জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৩৮, পিএসজি), ইসলাম স্লিমানি (২৭, স্পোর্টিং লিসবন), লিওনেল মেসি (২৬, বার্সেলোনা). হ্যারি কেন (২৫, টটেনহাম), পিয়েরে এমেরিক উবামেয়াং (২৫, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড)।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের মধ্যে কেউ এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করলেই যে গোল্ডেন বুট জিতবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই! দু’টি বিষয়ের ওপর গোল্ডেন বুট নির্ণয় করা হয়-গোল ও উয়েফার ৠাংকিং। লিগ ৠাংকিং এখানে প্রভাব ফেলে।
প্রত্যেকের গোলসংখ্যাকে লিগের ৠাংকিং অনুযায়ী গুণ দেওয়া হয়। সবচেয়ে কঠিন লিগ পায় সর্বোচ্চ ২.০ রেটিং। এরপর অপেক্ষাকৃত কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ ১.৫ ও শেষ লিগ স্টেজকে দেওয়া হয় ১.০ রেটিং।
তাই পিএসজির হয়ে ৩৮টি গোল করেও ইব্রাহিমোভিচকে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকতে হচ্ছে। কারণ, ফ্রেঞ্চ লিগকে (লিগ ওয়ান) ২০১৫-১৬ মৌসুমে ইউরোপের অন্যতম পাঁচটি শক্তিশালী লিগের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়নি। যেখানে পর্তুগিজ লিগ পূর্ণ ২.০ রেটিং পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
এমআরএম