ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় ইউরো ২০১৬

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় ইউরো ২০১৬

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্ব ফুটবলের উন্মাদনা সৃষ্টিকারী আসর ‘উয়েফা ইউরো ফুটবল চ্যম্পিয়নশিপ ২০১৬’। ইউরোপের সেরা ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর অংশগ্রহণে জুনের ১০ তারিখ থেকে ফ্রান্সে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।

 

তৃতীয়বারের মতো ইউরো’র আয়োজন করতে যাচ্ছে ফরাসিরা। এর আগে ১৯৬০ সালে প্রথম আসরের আয়োজনের পর ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল ফ্রান্স। গেল ১৪ আসরের ধারাবাহিকতায় এটি ইউরো ফুটবলের ১৫তম আসর।

১৯৯৬ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ইউরোপের ২৪টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মোট ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো ইউরোপের এই ফুটবল বিশ্বকাপ।

ইউরোপের ২৪ টি দেশ ৪টি করে মোট ছয়’টি গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের ইউরোতে মাঠের লড়াইয়ে কাঁপন ধরাবে। টুর্নামেন্টের ফরমেট হিসেবে থাকছে গ্রুপ পর্ব, নক আউট পর্ব ও ফাইনাল।

এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশ কোন গ্রুপে লড়বে:

গ্রুপ ‘এ’: ইউরো’র এবারের আসরে এই গ্রুপটিতে আছে স্বাগতিক ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া ও আলবেনিয়া। শক্তিমত্তা ও মাঠের পারফরমেন্সে গ্রুপটিতে এগিয়ে আছে ১৯৮৪ ও ৯০’র ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফ্রান্স ছাড়াও গ্রুপের অপর শক্তিশালী দলটি হলো সুইজারল্যান্ড। তবে সুইসরা এখন পর্যন্ত ইউরো শিরোপার দেখা পায়নি। ১০ জুন এই গ্রুপ থেকেই স্বাগতিক ফ্রান্স ও রোমানিয়া উদ্বোধনী ম্যাচে স্তাদিও সেইন্ট ডেনিসে মুখোমুখি হবে।

গ্রুপ ‘বি’: ‘বি’ গ্রুপেও আছে ইউরোপের দুই শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড ও রাশিয়া। বাকি দুটি দল হলো ওয়েলস ও স্লোভাকিয়া। বর্তমান রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ইউরোর প্রথম আসর ১৯৬০ সালের শিরোপা জয়ী। তবে ইংল্যান্ড এখনও পর্যন্ত ইউরোর কোনো আসরেই শিরোপার দেখা পায়নি। ইংল্যান্ডকে নিয়ে হতাশার শেষ এখানেই নয়। ইউরোপের ফুটবলে সব সময় প্রাধান্য বিস্তারকারী ইংলিশরা ইউরো’র কোনো আসরে একবারের জন্যও রানারআপ হওয়ারও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি!

গ্রুপ ‘সি’: ইউরো’র এবারের আসরের ‘সি’ গ্রুপের দলটিতে আছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি, ইউক্রেন, পোল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড। আগের দুই গ্রপ ‘এ’ ও ‘বি’র তুলনায় এই গ্রুপটিতে তুলনামূলকভাবে শক্তি মত্তার বিবেচনায় একমাত্র শক্তিশালী দল জার্মানি। ১৯৭২ ও ১৯৮০ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি ইউরো জিতেছিল। দুই জার্মানি এক হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে তৃতীয় ইউরো শিরোপার দেখা পায় বাভারিয়ানরা।
      
গ্রুপ ‘ডি’: গ্রুপ ‘ডি’তে ইউরো’র দলগুলো হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন, চেক রিপাবলিক, তুরস্ক ও ক্রোয়েশিয়া। দেশ চারটির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেন। ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো শিরোপাজয়ী দল লা রোজা খ্যাত স্পেন। স্পেনের পর শক্তিমত্তার বিবেচনায় এগিয়ে আছে চেক রিপাবলিক বা তৎকালীন চেকস্লোভাকিয়া। ১৯৭৬ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জয় নিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল চেক রিপাবলিকানরা।

গ্রুপ ‘ই’: ‘ই’ গ্রুপে আছে বেলজিয়াম, ইতালি, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ও সুইডেন। এই গ্রুপটিতেও ইউরোপের দুই শক্তিশালী দলের অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দল দুটো হলো ইতালি ও সুইডেন। ইউরোপের পাওয়ার ফুটবলের জনক ইতালি ১৯৬৮ সালে অর্থা‍ৎ ইউরো’র দ্বিতীয় আসরে শিরোপা ঘরে তুলেছিল। এরপর অবশ্য আর কোনো শিরোপার দেখা পায়নি ইউরোপের সব সময়ের শক্তিশালী এই দলটি। তবে ইতালি একবার শিরোপ ঘরে তুললেও সুইডেনের জন্য এখনও পর্যন্ত ইউরো শিরোপা স্বপ্নই রয়ে গেছে।

গ্রুপ ‘এফ’: গ্রুপ ‘এফ’র দলগুলো হলো পর্তুগাল, আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি। এই গ্রুপের একমাত্র শক্তিশালী দল পর্তুগাল। ২০০৪ এর ইউরো ফাইনালে গ্রিসের কাছে ১-০ গোলে শিরোপা হারিয়ে রানারআপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল পর্তুগাল। ওই শেষ। এর আগে কিংবা পরে ইউরোর কোনো আসরেই শিরোপা জয় দূরে থাক ফাইনালেই উঠতে পারেনি পর্তুগিজরা।
 
এদিকে ইউরো’র ১৫তম আসরের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ফ্রান্সের ১০ নগরীর ১০টি ভেন্যু। ভেন্যুগুলো হলো সেইন্ট ডেনিস, মার্শেই, লিও, লিল, প্যারিস, বরদিওক্স, সেইন্ট এতিনি, নিস, লেন্স ও তুলুস। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও সমাপনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৮১ হাজার ৩ শত ৩৮ জন দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম সেইন্ট ডেনিসে।

এবারের ইউরোর লোগো হিসেবে থাকছে ‘হেনরি ডিউলানি ট্রফি’। অফিসিয়াল গান ডেভিড গুয়েতা ও জারা লারসনের ‘দিস ওয়ান ইজ ফর ইউ’। আর অফিসিয়াল মাসকট ‘সুপার ভিক্টর’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ১৬ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।