ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

ফুটবল

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৭
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাস ছবি: সংগৃহীত

মোনাকোর মাঠে ২-০ গোলের জয়ে আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল জুভেন্টাস। এবার হোম ভেন্যুতে তারই পূর্ণতা পেল। সেমির ফিরতি পর্বের ম্যাচে ২-১ গোলের জয়ে ৪-১ গোলের অ্যাগ্রিগেটে ফাইনালের টিকিট কাটলো জুভিরা।

ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে জুভিদের সামনে এক বছরের বিরতিতে দু’বার ফাইনাল খেলার হাতছানি ছিল। ২০১৫ আসরে বার্সেলোনার কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল।

এবার কোনো অঘটন না ঘটায় শিরোপা নির্ধারণীতে বার্সারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে কিংবা রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে মোকাবেলা করতে হবে।

জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হয়। বুধবার দিবাগত রাতে একই সময়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে আতিথ্য দেবে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলের জয়োল্লাসে মাতে গ্যালাকটিকোরা।

প্রথম লেগে জোড়া গোল করে দলকে চালকের আসনে নিয়ে যান গঞ্জালো হিগুয়েইন। তবে, ফিরতি লেগে আর্জেন্টাইন তারকা গোল না পেলেও ব্রাজিলের দানি আলভেজ আর ক্রোয়েশিয়ার তারকা মারিও মান্দজুকিচের গোলে জয় তুলে নেয় ইতালির জায়ান্টরা। ফরাসি ক্লাব মোনাকোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এমবাপে।

খেলার ৩৩ মিনিটের মাথায় মান্দজুকিচের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা (১-০)। ৪৪ মিনিটের মাথায় লিড দ্বিগুণ করেন দানি আলভেজ (২-০)। আর এই স্কোরেই বিরতিতে যায় জুভিরা। বিরতির পর ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মাথায় হারের ব্যবধান কমাতে গোল করেন মোনাকোর তারকা এমবাপে (২-১)।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, এর আগে গত ১৪ বারের চেষ্টায় কোনো দলই হোম ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হেরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কোনো ফ্রেঞ্চ ক্লাবই জুভেন্টাসকে তাদের মাঠে হারাতে পারেনি (৩ ড্র, ১১ হার)। চ্যাম্পিয়নস লিগে মোনাকোর দু’টি ট্রিপ শেষ হয় হারের হতাশায় (১৯৯৭-৯৮ সেমিফাইনালে ৪-১ ও ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টারে ১-০)।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে মুখোমুখি হয় দু’দল। ১৯ বছর আগে (১৯৯৭-৯৮ মৌসুম) দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ অ্যাগ্রিগেটের জয়ে ফাইনালে উঠলেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায় জুভিরা। ২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠতে ব্যর্থ জুভেন্টাসই তিন সিজনের মধ্যে দু’বার শেষ চারে খেলছে। নিজেদের শেষ ছয়টি সেমির মধ্যে পাঁচবারই তারা ফাইনাল নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের পর চতুর্থবারের মতো সেমিতে উত্তীর্ণ হয় মোনাকো। যেখানে অন্য কোনো ফ্রেঞ্চ টিম একবারের বেশি শেষ চারে নাম লেখাতে পারেনি।

এবারের আসরে রিয়ালের সঙ্গে জুভেন্টাস এখন পর্যন্ত অপরাজেয়। সব মিলিয়ে হোম ভেন্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শেষ ১৯টি ম্যাচেই অপরাজিত তারা (১২ জয়, ৭ ড্র)। এ প্রতিযোগিতায় ঘরের মাটিতে হার এড়িয়ে এটাই তাদের দীর্ঘ অপরাজেয় দৌড়। বায়ার্ন মিউনিখ সবশেষ টিম যারা জুভেন্টাসে গিয়ে জয় নিয়ে ফেরে (২-০, ২০১৩ সালের এপ্রিলে)।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।