ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২, ১১ মে ২০২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

ফুটবল

টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন কলসিন্দুরের মেয়েরা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩০, নভেম্বর ১০, ২০১৭
টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন কলসিন্দুরের মেয়েরা ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েরা জেএফএ কাপের ফাইনালে হারিয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা দলকে। ঠাকুরগাঁও জেলাকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে সহজেই হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের শিরোপা জিতেছে ময়মনসিংহ।

গত সেপ্টেম্বরে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া সতীর্থ ফুটবলার সাবিনা ইয়াসমিনকে শিরোপা উৎসর্গ করেছে ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েরা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ময়মনসিংহের হয়ে জোড়া গোল করেন রোজিনা আক্তার।

অপর গোলটি করেন শামসুন্নাহার।

ম্যাচের ৯ মিনিটেই ময়মনসিংহকে এগিয়ে নেন রোজিনা আক্তার। ১৬ মিনিটের মাথায় রোজিনা তার জোড়া গোল পূর্ণ করে দলকে এগিয়ে নেয় ২-০ ব্যবধানে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে শামসুন্নাহার গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন। বিরতির পর আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কলসিন্দুরের মেয়েরা। গোলের দেখা পায়নি প্রথমবার ফাইনালে ওঠা ঠাকুরগাঁও জেলা দল।

জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (জেএফএ) সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নেয় ৩৫টি জেলা। মূলপর্ব পেরিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে ঠাকুরগাঁও। আর টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে ময়মনসিংহ। সেমিফাইনালে ময়মনসিংহ জেলা ৪-০ গোলে রাজশাহী জেলাকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা টাইব্রেকারে টাঙ্গাইল জেলাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে আসে।

২০ থেকে ২৫ আগস্ট দেশের ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় জেএফএ কাপের প্রাথমিক রাউন্ডের খেলা। ছয়টি ভেন্যুর ছয় চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা দুই রানার্স-আপ দলসহ মোট আটটি দল চূড়ান্তপর্বে উত্তীর্ণ হয়। সেখান থেকে চারটি দল সেমিফাইনালে খেলে। বিদায় নেয় চারটি দল। সেমিফাইনালে শক্তিমত্তা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে দুটি দল ওঠে ফাইনালে। বিদায় নেয় আরো দুটি দল।

চূড়ান্তপর্বের ‘ক’ গ্রুপে ছিল ঠাকুরগাঁও জেলা, রাজশাহী জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা ও রাজবাড়ী জেলা। ‘খ’ গ্রুপে ছিল ময়মনসিংহ জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, কুমিল্লা জেলা ও সাতক্ষীরা জেলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১০ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।