ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শুভ জন্মদিন রোনালদো: ৩৪ বছর বয়সীর ১০ বিশেষ তথ্য

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
শুভ জন্মদিন রোনালদো: ৩৪ বছর বয়সীর ১০ বিশেষ তথ্য আজ রোনালদোর জন্মদিন-ছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবলারের তকমা জড়িয়ে আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গায়ে। বহু রেকর্ডের বরপুত্র এই পর্তুগিজ তারকাকে অনুসরণ করে আধুনিক ফুটবলের বহু তারকারাও। ক্যারিয়ারে ২৭টি শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন জুভেন্টাসের উইঙ্গার, যার মধ্যে পাঁচটি লিগ, পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর একটি উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের (৪৫০) রেকর্ড রোনালদোর দখলে। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ (১২১), ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (৯) গোলের রেকর্ড তো আছেই।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের (৩৪) কীর্তিও আছে তার ঝুলিতে। পর্তুগালের হয়ে তার ৮৫ গোলও দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। পাঁচবার জিতেছেন বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর।

আজ মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নিজের ৩৪তম জন্মদিন উদযাপন করছেন পর্তুগিজ ফুটবলের ‘যুবরাজ’। এই মহাতারকার জন্মদিনে তার সম্পর্কে ১০টি বিশেষ তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

-    দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া রোনালদোর জন্য সাফল্যের পথ মোটেই সহজ ছিল না। তার পিতা ছিলেন একজন মালি আর তার মা অন্যের বাড়িতে রান্না আর পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন।
-    পিতার হাত ধরেই পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। সেসময় ছেলেদের এক ক্লাবে তার পিতা ক্রীড়া সরঞ্জাম ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন।
-    খুব অল্প বয়সেই তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। সে সমস্যা এমনই ছিল যে তার ফুটবল খেলাই প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু এরপর লেজার হার্ট সার্জারি করার পর ফের ফুটবল খেলতে শুরু করেন তিনি।
-    শৈশবে তাকে ‘ক্রাই বেবি’ বলে ডাকতো তার খেলার সঙ্গীরা। কারণ, খুব অল্পতেই কেঁদে ভাসাতেন তিনি।
-    স্কুলে তার শিক্ষকের গায়ে চেয়ার ছুড়ে মারার শাস্তি স্বরূপ ১৪ বছর বয়সেই স্কুল থেকে বিতাড়িত হন তিনি। কিন্তু এটাই তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর ফুটবলে পুরোপুরি মনোনিবেশ করা তার জন্য সহজ হয়ে যায়।
-    কানাডার বিখ্যাত ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উপর একটি সামাজিক বিষয়ে পড়ানো হয়।
-    রোনালদোর ফ্রি-কিকের গড় গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার কিংবা প্রতি ঘণ্টায় ৩১.১ মাইল।
-    অন্য তারকাদের মতো নিজের শরীরে ট্যাটু আঁকানো পছন্দ করেন না রোনালদো। এর পেছনে অবশ্য একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে। কারণ তিনি নিয়মিত রক্ত দান করেন।
-    একটি বন্য চিতা পূর্ণ লড়াইয়ে লাফ দিতে যে শক্তি সৃষ্টি করে, রোনালদোর একবারের লাফ তার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি শক্তি সৃষ্টি করে।
-     সিআর সেভেন প্রতিদিন ৩ হাজার বুকডন দেন। এছাড়া নিয়মিত অন্যান্য শারীরিক ব্যায়াম তাকে ৩৪ বছর বয়সেও ২০ বছর বয়সীর সমান ফিটনেস এনে দিয়েছে।

চলতি মৌসুমেও নিজের সেরা ফর্ম ধরে রেখেছেন রোনালদো। তার দল জুভেন্টাস সিরি আ’তে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থেকে শীর্ষে আছে। আর তিনি নিজে ২২ ম্যাচ খেলে ১৭ গোল আর ৬ অ্যাসিস্ট করে আছেন লিগের বাকিদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।