ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আগে স্পেনের হয়ে খেলার জন্য মেসিকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়েছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু মেসি ও তার বাবা দু’জনেই সেই সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়ে জানিয়ে দেন জন্মভূমি আর্জেন্টিনার হয়েই খেলবেন এই ফরোয়ার্ড।
ওই আসরে সেস ফ্যাব্রিগাসের নেতৃত্বে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল স্প্যানিসরা। অথচ নিজ দেশ আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ হুগো তোকাই মেসিকে তার দলেই রাখেননি। তবু নিজ দেশের জার্সি গায়েই খেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন মেসি।
প্রথমবার মেসিকে রাজি করাতে না পারলেও দমে যায়নি স্পেন। কিন্তু মেসির বাবা হোর্হে মেসি সেসময় কাতালুনিয়া সফররত আর্জেন্টিনার কোচ মার্সেলো বিয়েলসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাতীয় দলের হয়ে মেসি যে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সেটা নিয়ে কথা বলতেই এই সাক্ষাৎ।
আর্জেন্টিনা জুনিয়র দলের কোচ ক্লদিও ভিভাস ওই সাক্ষাতের নোট রাখছিলেন। তিনিই মেসির কিছু ভিডিও পাঠাতে বলেন। সেগুলো দেখেই মেসিকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করার সুপারিশ করেন তিনি।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মেসির, সেসময় তার জার্সি নাম্বারও ছিল ১৭।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস