দ্বিতীয়ার্ধে দলের গোল খরা কাটাতে বদলি হিসেবে নেমে পড়লেন আর্জেন্টাইন তারকা আর মাঠে নামার ১৬ মিনিটের মাথায়ই দলকে এনে দিলেন জয়সূচক গোল। এই একমাত্র গোলের ব্যবধানেই টানা দ্বিতীয় আর সবমিলিয়ে ২৬তম লিগ শিরোপা জেতার স্বাদ পেলো কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতের প্রথম ম্যাচে ভায়োদোলিদকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ফলে রাতেই শিরোপা উৎসবে মাততে হলে লেভান্তেকে হারানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না বার্সার সামনে। কাজটা যে মোটেই সহজ নয় ম্যাচের প্রথমার্ধেই বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের দুই তৃতীয়াংশ সময় পার করার পরই এসেছে প্রথম ও একমাত্র গোলের দেখা।
ক্যাম্প ন্যুয়ে খেলার শুরু থেকেই লেভান্তেকে চেপে ধরেছিল বার্সা। দ্বিতীয় মিনিটেই উসমান দেম্বেলে ও আর্তুরো ভিদালের বানিয়ে দেওয়া বলে জোর শট নিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু পা বাড়িয়ে সেই শট ঠেকিয়ে দেন লেভান্তে গোলরক্ষক এইতর। মিনিট তিনেক পরে সফরকারীদের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের একদম সামনে থেকে শট নিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপ্পে কৌতিনহো। কিন্তু এবারও এইতর বাধা হয়ে দাঁড়ান। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কৌতিনহোর নেওয়া ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
ম্যাচ জিততে মরিয়া বার্সা দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতেই কৌতিনহোকে তুলে নিয়ে মেসিকে নামিয়ে দেন। স্বাগতিকদের মনে স্বস্তি ফেরাতে বেশি সময় নেননি অধিনায়ক। ৬২তম মিনিটে লেভান্তের ডিফেন্সে ঢুকে পড়েন দেম্বেলে, কিন্তু তিনি আর সুয়ারেজ মিলে গোলমুখে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। কিন্তু এমন সাজানো আক্রমণ তো বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। উপায়ন্তর না দেখে বল পেয়েই মেসির পায়ে ঠেলে দেন ভিদাল। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্র গতির নিচু শটে জালে জড়িয়ে দেন মেসি।
১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সা অনেকটা নিশ্চিত হয়েই হয়ত কিছুটা গা ছেড়ে দিয়েছিল। এই সুযোগে বার্সার রক্ষণে বেশ চাপ তৈরি করেছিল সফরকারীরা। একবার তো অল্পের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার হাত থেকে বেঁচে গেছেন মেসিরা। সফরকারী দলের বার্ধি ৮৯তম মিনিটে গোলমুখে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন, কিন্তু বারে লেগে বল বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের হাতে জমা হলে ঘাম দিয়ে যেন জ্বর ছাড়ে বার্সা সমর্থকদের। এরপর শেষ বাঁশি বাজতেই তুমুল করতালি আর শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে পুরো ক্যাম্প ন্যু।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এমএইচএম