কোচিং ক্যারিয়ারে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন গার্দিওলা। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে খুব বেশি ক্ষতিও হয়নি তার।
এ পর্যন্ত ৩টি ক্লাবের কোচ হিসেবে তার ২৬টি শিরোপার মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে ১৪টি (৩টি লা লিগা, ২টি কোপা দেল রে, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৩টি সুপারকোপা, ২টি উয়েফা সুপার কাপ এবং ২টি ক্লাব বিশ্বকাপ), বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৭টি (৩টি বুন্দেসলিগা, ২টি জার্মান কাপ, ১টি উয়েফা সুপার কাপ এবং ১টি ক্লাব বিশ্বকাপ) এবং ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৫টি (২টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, ২টি লিগ কাপ এবং ১টি কমিউনিটি শিল্ড)।
কোচ হিসেবে শিরোপা জিতে সর্বকালের শীর্ষ তালিকায় গার্দিওলার সামনে আছেন অ্যালেক্স ফার্গুসন (৪৯), মিরেসা লুসেসকু (৩২), ভ্যালেরি লেবানোভস্কি (৩০) এবং ওটমার হিৎজফিল্ড (২৮)। ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে পরপর দু’বার শিরোপা জিতে ফার্গুসনের কীর্তি ছুঁয়েছেন গার্দিওলা। ১০ বছর আগে ফার্গুসনের অধীনে একই সম্মান অর্জন করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এবার ৯৭ পয়েন্ট নিয়েও ম্যানসিটির কারণে শিরোপা জিততে পারেনি লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এত পয়েন্ট পাওয়া সত্ত্বেও শিরোপা জিততে না পারা একমাত্র অভাগা দল অল রেডসরা।
এবারই সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন শিরোপা লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন গার্দিওলা। নিজে স্বীকারও করে নিয়েছেন তা। তবে এখানেই তো অনন্য তিনি। যে ক্লাবেই গেছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন । তার অধীনে ‘টিম ওয়ার্ক’ করতে শিখেছেন বহু হারিয়ে যেতে বসা তারকা ফুটবলার, হয়ে ওঠেছেন আরও ভালো খেলোয়াড়।
বার্সেলোনার কোচিং করানোর সময় মেসিকে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলিয়ে এক মৌসুমে ৪৭ গোল করিয়েছিলেন। তিনিই সার্জিও বুসকেতস, সার্জি রবার্তো এবং থিয়েগো আলকান্তারার অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। সিটিতে এসে আগুয়েরোদের সেরাটা বের করে এনেছেন। দলে তেমন বিশ্ব কাঁপানো ফুটবলারও নেই। তবু ক্লপের ‘হেভি মেটাল’ ফুটবলের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে শিরোপা জয় করেছেন। তাই নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ে সেরা কোচ যে গার্দিওলা এতে সন্দেহ করার সুযোগ খুব কমই আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘন্টা, মে ১৩, ২০১৯
এমএইচএম/ইউবি