মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে খুব শিগগিরই আলোচনায় বসবে বার্সেলোনা। তার আগেই নিজের চাহিদার কথা ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তমেউকে জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
২০১৪ সালে বার্সার বিশাল অঙ্কের অর্থায়ন পরের বছরই ট্রেবল এনে দিয়েছিল। ওই সময় থেকেই বার্সার অর্জনের সঙ্গে ছিলেন লুইস সুয়ারেস, ইভান রাকিতিচ এবং মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। পরের দুই মৌসুমে আনা হলো আরদা তুরান, অ্যালেক্স ভিদাল, দেনিস সুয়ারেস, লুকাস ডিগনে, আন্দ্রে গোমেস, জেসপার সিলেসেন, পাকো আলকাসের এবং স্যামুয়েল উমতিতিকে। ৮ জনকে আনতে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল।
নেইমারের বিদায়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরো ঝুলিতে পুরলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বার্সা। লিভারপুল থেকে ফিলিপ্পে কৌতিনহো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে উসমানে দেম্বেলেকে কেনা হলেও দুজনের কেউই প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি। এই মৌসুমে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে গেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে অনেকটা জোর করেই থেকে গেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। যদিও তার শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে তার ওপর বেশ বিরক্ত বার্সা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাইট-ব্যাক পজিশনে নেলসন সেমেদো বেশ ভালো করছেন। আর উমতিতির ইনজুরির সুবাদে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন ক্লিমেন্ট লেঙ্গলেট। ব্রাজিলিয়ান আর্থার এখনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ভিদাল অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ইয়েরি মিনা, হেইসন মুরিয়ো এবং কেভিন প্রিন্স বোয়েটাং এখনও বার্সার মানের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
সর্বশেষ ফ্রাঙ্কি ডি জং এবং আতোঁয়া গ্রিজম্যানকে কেনায় বার্সার শক্তিমত্তা বেড়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু মেসির চোখে নেইমারকে কিনতে পারলেই তা বার্সাকে অন্য উচ্চতায় নিতে সক্ষম হতো। কিন্তু এই একটা জায়গায় পিছিয়ে পড়েছে বার্সা। চেষ্টাও অবশ্য কম করেনি, কিন্তু পিএসজি’র একগুঁয়েমি সব ভেস্তে দিয়েছে। দলবদলের পরের পর্বে তাকে ফের কেনার চেষ্টা করবে কাতালানরা। সেবারও যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে মেসির চেয়ে অখুশি আর কেউ হবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএইচএম