দল-বদলের বিতর্ক পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পিএসজির জার্সিতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জয়ও এনে দেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমে শেষ ষোলো’র দ্বিতীয় লেগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় পিএসজি। সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের ‘বিতর্কিত’ গোলে নাটকীয় জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রেড ডেভিলসরা। পেনাল্টি গোলটি মেনে নিতে পারেননি নেইমার। অবশ্য চোটের কারণে ম্যাচটি খেলেননি তিনি। দর্শক সারিতে বসে উত্তেজিত ভঙ্গিতে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান পিএসজি ফরোয়ার্ড।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রেফারির সিদ্ধান্তকে কটুক্তি করেন নেইমার। যার কারণে তার কপালে জোটে চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। কেবল রিয়ালের বিপক্ষে নয়, গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচেও নিষেধাজ্ঞার কারণে নেইমারকে বসে থাকতে হবে বেঞ্চে।
অন্য দিকে এমবাপ্পে নেই চোটের কারণে। তোলুসের বিপক্ষে ম্যাচে পেশির চোটে পড়েন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। অবশ্য গত সপ্তাহে তিনি নিজের মতো করে অনুশীলন করেছেন। কিন্তু স্প্যানিশ জায়ান্টদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেননি তিনি। এছাড়াও পিএসজির আরেক ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানিও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড হয়তো মূল একাদশে নাও থাকতে পারেন। তার বদলে টুখেলের স্কোয়াডে শুরু থেকে মাঠে দেখা যেতে পারে ইন্টার মিলান থেকে ধারে পিএসজিতে যোগ দেওয়া আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দিকে।
এছাড়াও মূল একাদশে সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পিএসজির গোলপোস্ট সামলাতে দেখা যেতে পারে কেইলর নাভাসকে। তবে পিএসজির থিলু কেহরার ও হুলিয়ান ড্রাক্সলারদেরও বসে থাকতে হতে পারে সাইডলাইনে।
স্বস্তিতে নেই রিয়াল মাদ্রিদও। নিষেধাজ্ঞার কারণে সার্জিও রামোস-নাচো খেলতে পারবেন না পিএসজির বিপক্ষে। ইনজুরির কারণে মাঠে নামা হবে না ডিফেন্ডার মার্সেলোরও। তবে জিনেদিন জিদান মোটামুটি নির্ভার কারণ চোট সেরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ইডেন হ্যাজার্ড, হামেস রদ্রিগেজ ও ব্রাহিম দিয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস