মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে বায়ার্নকে স্বাগত জানায় টটেনহাম। যাদের শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে উয়েফা কাপে।
সেটিই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো স্পার্সদের জন্য। বাকি সময়টুকু মাথায় হাত তুলে কাটাতে হলো কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোকে। ১৫ মিনিটে জশুয়া কিমিচের গোলে সমতায় ফিরে বায়ার্ন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নাব্রির সহায়তায় ব্যবধানটা ২-১ করেন রবার্ট লেভানডভস্কি।
বিরতি থেকে ফিরে সমতায় ফিরতে জোর প্রচেষ্টা চালায় টটেনহাম। কিন্তু এরপরই নাব্রির গোল উৎসব শুরু। তার ৫৩ ও ৫৫ মিনিটের জোড়া গোলে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে টটেনহামের দর্শক। তখন পযর্ন্ত অবশ্য ম্যাচে ফেরার আভাস দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পার্সদের সমতায় ফেরানোর চেষ্টা করেন হ্যারি কেন।
কিন্তু কে জানতো বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের টটেনহাম গোলরক্ষক হুগো লরিসকে দর্শক বানিয়ে শেষদিকে একের পর এক গোলোৎসবে মেতে ওঠবে নিকো কোভাচের শিষ্যরা! ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নাব্রি। ৮৮ মিনিটে নিজের চতুর্থ ও দলের সপ্তম গোলটি আসে এই জার্মান মিডফিল্ডারের পা থেকে। তার এক মিনিট আগে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভা।
প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর এবার দুঃসহ হারে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে তৃতীয় স্থান নেমে গেছে টটেনহাম। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। গ্রুপের আরেক ম্যাচে অলিম্পিয়াকোসকে ৩-১ গোলে হারানো ক্রেভনা ভেজদা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে গ্রীসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
ইউবি