ক্যাম্প ন্যুতে অবশ্য শুরুর ২৫ মিনিট বার্সার ওপর আধিপত্য দেখিয়েছে সেভিয়া। ম্যাচের ১১ মিনিটে লুকাস কস্পোসের ক্রস থেকে ডি ইয়ংয়ের ডান পায়ের জোরালো শট কর্নারে বিনিময়ে রক্ষা করেন বার্সার জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ২৭ মিনিটেই সাফল্যের দেখা পায় তারা। পেনাল্টি বক্সের বাম পাশ থেকে নেলসন সেমেদোর ক্রস থেকে দৃষ্টিনন্দন বাই-সাইকেল কিকে বল জালে পাঠান লুইজ সুয়ারেজ।
ব্যবধান বাড়াতেও খুব বেশি সময় লাগেনি কাতালানদের। ৩২ মিনিটে আর্থারের বাড়ানো বল অফসাইডের বেড়াজাল ভেঙ্গে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভিদাল। গোলটি ভিডিও অ্যাসিসট্যান্স রেফারির সহায়তায় নিশ্চিত করা হয়।
এর দুই মিনিট পরেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ৩২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সেভিয়ার ডিফেন্ডারদের ভুলে আর্থারের কাছ থেকে বল পেয়ে যান দেম্বেলে। একক প্রচেষ্টায় পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ঢুকে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের বাকানো শটে বল জালে জড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
বিরতির পরে শুরুতেই ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় সেভিয়া। ৪৯ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়ে ডান পায়ে শট করেন ডি ইয়ং। কিন্তু কপাল মন্দ! বাম পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে মেসি একক প্রচেষ্টায় দারুণভাবে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ে শট করেন। আবারও কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা পায় সেভিয়া।
৭৮ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ফ্রি-কিক থেকে দৃষ্টিনন্দন গোল উপহার দেন মেসি। এটি এবারে মৌসুমে তার প্রথম গোল।
তবে, ৮৭ মিনিটে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রোনাল্ড আরাউজো। এর প্রতিবাদ করায় দেম্বেলেকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি।
নয়জনের দলে পরিণত হলেও বার্সা অবশ্য বাকিটা সময় ভালোভাবেই পার করে। ফলে ৪-০ গোলের জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভালভার্দের শিষ্যরা।
এই জয়ে আট ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
আরএআর/একে