তবে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও শেষ চারে যাওয়ার জন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে একইদিন সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী বনাম মোহনবাগানের ম্যাচের দিকে। কারণ ম্যাচটিতে মোহনবাগান জিতলে কঠিন সমীকরণের পড়তে হবে ইয়ংকে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জয়ের জন্য মাঠে নেমে শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইয়ং এলিফেন্টসরা। একের পর এক আক্রমণে ভেঙ্গাদাসালামের দল ত্রাস সৃষ্টি করে টিসি স্পোর্টস শিবিরে। ১৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়ে যায় লাওসের ক্লাবটি। দুর্দান্ত শটে এলিফেন্টসকে এগিয়ে দেন তাদের অধিনায়ক বোনপাচান বংকং।
১৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে আবারও এগিয়ে যেতে পারতো এলিফেন্টস। ২৩ মিনিটে টিসি’র সমতায় ফেরার সুযোগ নস্যাৎ করে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক জায়াসাভাত। এর দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের গোলমুখে ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন আব্দুল ইব্রাহিম। কিন্তু তিনি সুযোগটি নষ্ট করেন এলিফেন্টস খেলোয়াড়দের গায়ে মেরে। ২৭ মিনিটে আরেকবার টিসিকে রক্ষা করেন তাদের গোলরক্ষক। ৩৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট ঘেঁষে বল বের না হয়ে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো লাওসের ইয়ংরা। ৩৬ মিনিটে বিমল গারতিমাগার বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন। কিন্তু এবারও ব্যর্থ মোহাম্মদ হামিদের দল।
বিরতির পর গোল শোধের চেষ্টা করতে থাকতে টিসি। কিন্তু ৫৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ভেতর থেকে বুলেট গতির শট নেন বংকং। ডানদিকে লাফিয়ে পড়েও সেই বল সেভ করতে পারেননি টিসির গোলরক্ষক ইব্রাহিম আদম। সমতায় ফিরতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে ৭৮ মিনিটে মোহাম্মদ সমীরের গোল থেকে ব্যবধান কমায় টিসি। ৮২ মিনিটে ইসমাইল ইসার পাস থেকে আবারও গোলের সুযোগ পান সমীর। এর পরের মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের সুযোগ মিস করে এলিফেন্টস। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধান ধরে রেখে তিন পয়েন্ট আদায় করে এলিফেন্টস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
ইউবি/এইচএ/