শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে লাৎসিও’র বিপক্ষে সিরি আ’র ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোলে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু দলের বাকিরা সব ব্যর্থ।
প্রতিপক্ষ হিসেবে লাৎসিও মোটেই সহজ নয়। দলটিও চলতি মৌসুমে মাত্র ২ ম্যাচ হারার রেকর্ড সঙ্গী করে মাঠে নেমেছিল। লাৎসিও ঠিক কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ তা মাঠে ভালোই টের পেয়েছে জুভেন্টাস। শুরু থেকে বেশকিছু ধারালো আক্রমণ শানিয়েছে স্বাগতিকরা। তবে এসবের মাঝেও প্রথম গোল করেছে জুভেন্টাসই। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে লাৎসিও ডিফেন্সের ফাঁকে বেন্তানকারের পায়ে বল ঠেলে দেন পাওলো দিবালা। বল পেয়ে গোলমুখের দিকে ছুটতে থাকা রোনালদোর পায়ে বল ঠেলে দেন জুভেন্টাস মিডফিল্ডার আর তা থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দারুণ ফিনিশিং দেন রোনালদো।
গোল হজম করেই যেন স্তম্ভিত ফিরে পায় লাৎসিও। একের পর আক্রমণের ফল তারা পায় প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে। কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে নিখুঁত ক্রসে বল লুইস ফেলিপের দিকে বাড়িয়ে দেন লুইস আলবের্তো। পোস্টের কাছে বল পেয়ে গোল করতে কোনো অসুবিধা হয়নি লাৎসিও ডিফেন্ডার ফেলিপে। জুভেন্টাসের আসল সর্বনাশ হয় দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে।
ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের উইঙ্গার লাজ্জারিকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড ও পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সিদ্ধান্তে লাল কার্ড দেখেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। ডিফেন্সে একজন কমে যাওয়ার ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি জুভেন্টাস। এই ঘটনার ৬ মিনিট পরেই সের্গেই মিলিনকোভিচের গোলে এগিয়ে যায় লাৎসিও।
এরপর ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল দলাৎসিও। কিন্তু স্ট্রাইকার কিরো ইমোবাইল পেনাল্টি মিস করেন। তবে এজন্য আক্ষেপ ক্রতে হয়নি, যোগ করা সময়ের একদম শেষদিকে জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লাৎসিও স্ট্রাইকার ফেলিপে সাইসেদো।
এই হারের পর ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাসের অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। সমান ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লাৎসিও। আর শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ৩৮।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এমএইচএম/টিএ