হার সঙ্গী হলেও ম্যাচের শুরুতে কিন্তু আধিপত্য ছিল শেখ জামালেরই। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের নবম মিনিটেই সাফল্যের দেখা পায় শেখ জামাল।
তবে ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি সাইফ স্পোর্টিং। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ইয়াসিন আরাফাতের বাঁ পায়ের জোরালো শট শেখ জামালের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালের ঠিকানা খুঁজে পায়। ১-১ গোলে সমতায় ফেরে সাইফ।
৩৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিে শেখ জামাল। নিজেদের অর্ধে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে এগিয়ে নিয়ে যান সলোমন কিং। তার বাড়িয়ে দেয়া পাস পেয়ে পেনাল্টি বক্সের ডান দিকে শট নেন ওমর জোবে। বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দলই। আক্রমণের ধারও বাড়িয়ে দেয়। তবে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। তবে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যেতে থাকা ম্যাচে প্রাণ ফিওে আসে ৮২ মিনিটে। সাইফের একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে জামালের ডিফেন্ডার বুক দিয়ে গোলরক্ষককে ব্যাক পাস দিতে গেলে বল হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় সাইফ। তাজিকিস্তানের জাহাঙ্গীর স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ২-১ গোলে লিড এনে দেন।
পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া শেখ জামালের দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় সাফল্যের দেখা পায় সাইফ। ইনজুরি সময়ে সাইফের কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার আকমেদভের দূর পাল্লার শট রুখতে পারেননি জামালের গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয়ে শেখ জামালকে বিদায় করে রহমতগঞ্জকে সঙ্গী করে কোয়ার্টার ফাাইনালে ওঠে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম