মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই শিরোপা জেতা নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা পুরো তিন পয়েন্টই তুলে নিল।
প্রতিপক্ষের জালে কিংসের মেয়েদের গোল উৎসব এবারের আসরে সবচেয়ে নিয়মিত দৃশ্য। রোববার কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সেই ধারা বজায় রেখে সাবিনাবাহিনী জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশকে ১৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। ১১ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শিরোপা জয় নিশ্চিত করা দলটি এবার চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে গোল করেছে ১০৫টি!
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর হামলে পড়ে কিংসের মেয়েরা। দলের বিশাল জয়ে একাই পাঁচ গোল করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। হ্যাটট্রিক করেছেন তহুরা খাতুন। জোড়া গোল করেছেন স্বপ্না। ১টি করে গোল করেছেন নার্গিস, মারিয়া ও শিউলি।
খেলার মাত্র তৃতীয় মিনিটেই গোল করেন সাবিনা। এরপর অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা। ১৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান সাবিনা। পাঁচ মিনিট পর স্কোর ৪-০ করেন নার্গিস। এরপর ২৩তম মিনিটে সাবিনা নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। প্রথমার্ধের ৩৩ ও ৩৫তম মিনিটে আরও দুই গোল করেন তিনি। মাঝে ৩২তম মিনিটে নিজের একমাত্র গোলটি করেন মারিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে কিংসের মেয়েদের গোল উৎসব। ৫১তম মিনিটে স্কোরের খাতায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করেন স্বপ্না। তিন মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তহুরা। ৭০তম মিনিটে একটি গোল শোধ করেন কাচারিপাড়া একাদশের আশা। কিন্তু দলটির লড়াই ওই পর্যন্তই। এরপর ৭৩তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কিংসের তহুরা। ৮৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন স্বপ্না। এরপর কাচারিপাড়া একাদশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন শিউলি।
এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন সাবিনা খাতুন। একাই ৩০টি গোল নিজের নামের পাশে যুক্ত করেছেন কিংসের অধিনায়ক। এছাড়াও কৃষ্ণা রানী সরকার ১৯টি, তহুরা খাতুন ১৪টি এবং স্বপ্না রানী ১১টি করে গোল করেছেন লিগে।
নারী লিগে এবার একের পর এক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছে বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা। মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় দল ও জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফুটবলারদের নিয়ে শক্তিশালী দল গঠন করে বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপক্ষের জালে ডজন ডজন গোল দিতে থাকে তারা। বিপরীতে নিজেদের গোলবার প্রায় অক্ষতই রাখে তারা। এ পর্যন্ত লিগে ১১ ম্যাচ খেলে কেবল ২ গোল হজম করেছে সদ্য শিরোপাজয়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এমএইচএম