যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পাওয়া ০৯ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন রবিনহো। তবে সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকছে মিলানের আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মিলানের আদালত তা নিশ্চিত করেছে। আদালতে আবারও রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের সাবেক তারকা ও তার পাঁচ বন্ধুর বিরুদ্ধে গ্যাং রেপের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি মিলানে ২২ বছর বয়সী এক আলবেনিয়ান নারীকে গ্যাং রেপের অভিযোগ ওঠে রবিনহো ও তার পাঁচ বন্ধুর বিরুদ্ধে। তার জন্য ০৯ বছরের শাস্তি দেওয়া হয় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। অবশ্য শুরু থেকেই নিজের দোষ অস্বীকার করে আসছেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা।
আদালত রবিনহোর আরেক ব্রাজিলিয়ান বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকাওয়েরও ০৯ বছরের জেল শাস্তি বহাল রেখেছেন। প্রথমবারের রায়েও দু’জনকে সমান শাস্তি দেওয়া হয়। রবিনহো ও তার বন্ধুকে ক্ষতিপূরণস্বরূপ ঐ নারীকে ৬০ হাজার ইউরো দেওয়ার আদেশও দিয়েছিল আদালত। তাদের শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা।
ধর্ষণের শিকার সেই মহিলা মাতাল অবস্থায় ছিলেন, এমন দাবি করেছিলেন রবিনহোর বাকি চার বন্ধু। আপাতত তাদের রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
অপরাধের সময় রবিনহো খেলতেন এসি মিলানে। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পযর্ন্ত ১০৮ ম্যাচে মাঠে নেমে ২৫ গোল করেছিলেন তিনি। এরপর ইউরোপ ছেড়ে তিনি ঠিকানা গাড়েন চীনের ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্দেতে। ২০১৬ সালে তিনি যোগ দেন ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাতলেটিকো মিনেইরোতে।
গত অক্টোবরে ফের তিনি ফিরে আসেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। তবে যোগ দেওয়ার মাত্র ৪ দিনের মাথায় জনরোষে পড়ে তার চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ঐ সময় ‘নারীদের প্রতি অসম্মান’ করা খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ায় সান্তোসের সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করে এক স্পন্সর।
মিলানে যোগ দেওয়ার আগে পেলের উত্তরসূরি ভাবা রবিনহো রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটিতেও খেলেছেন। তিনি ব্রাজিলের জার্সিতে ১০০ ম্যাচে করেছেন ২৮ গোল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
ইউবি