মাত্র দুই দিন আগেই সুপার লিগের আবির্ভাব। এর মধ্যেই এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ঢেকে গেল।
এমন খবর নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা। জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট তথা সুপার লিগের সহ-সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লির এই ফরম্যাটের শেষ দেখা মন্তব্যের পরই দুটি ক্লাব বেরিয়ে গেল। এখন বাকি রইল রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও এসি মিলান।
এর আগে শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে ৩টি লিগের ১৫টি (১২টির নাম প্রকাশ করা হয়েছে) ক্লাব মিলে সুপার লিগের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক ফুটবলার ও কোচদের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিপক্ষে মত দেন টুর্নামেন্টে নাম লেখানো ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা থেকে শুরু করে লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। এমনকি আসরে নামেন খোদ ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ফিফা ও উয়েফার প্রধানরাও।
এলিট ক্লাবগুলোর এই সুপার লিগে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিশেষ করে ইংলিশ ক্লাবগুলোর সমর্থকরা বেশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। যোগ দেন বর্তমান খেলোয়াড়রাও। নাম না লেখানো ক্লাবগুলো থেকেও আসে সমালোচনার ঢেউ। সেই সঙ্গে ফিফা, উয়েফা ও লিগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার হুমকি তো আছেই। যার জেরে সবার আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। এরপর একই পথে হাঁটে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল এবং টটেনহাম। টুর্নামেন্টের বাকি ছয় দল হলো-স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এবং ইতালির জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান।
ম্যানচেস্টার সিটি নিশ্চিত করেছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সুপার লিগ থেকে সরে এসেছে। লিভারপুল বিবৃতিতে জানিয়েছে সুপার লিগের সাথে তাদের যাত্রা এ পর্যন্তই।
আর্সেনাল একটি খোলা চিঠি লিখেছে ভক্তদের উদ্দেশ্যে, যেখানে তারা বলেছে একটি ভুল হয়ে গেছে তাদের এবং বৃহত্তর ফুটবল কমিউনিটির কথা শুনেই তারা নাম সরিয়েছে সুপার লিগ থেকে।
টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ারম্যান ডেনিয়েল লেভি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এই প্রস্তাবের ফলে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা ক্লাবের জন্য হতাশাজনক।
ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার কেফেরিন সবগুলো ক্লাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'ইউরোপিয়ান ফুটবলকে এখনো অনেক দেয়ার আছে এই ক্লাবগুলোর। এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
এমএমএস