রেকর্ডের 'বরপুত্র' বলা হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। সিআর সেভেন মাঠে নামেনই যেন ফুটবলের রেকর্ড বইটা ওলটপালট করতে।
জুভেন্টাসের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দ্রুততম ১০০ গোলের আগের রেকর্ডটি ছিল ওমর সিভোরি ও রবের্তো বাজ্জিওর, চার মৌসুমে শত গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তারা।
রোনালদোর রেকর্ডের রাতে সাসউলোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তুরিনের ওল্ড লেডিরা। এই জয়ে জুভেন্টাসের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী আসরে খেলার সম্ভাবনাও টিকে রইলো। ম্যাচে জুভেন্টাসের হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন রোনালদো, আদ্রিয়েন র্যাবিওট ও পাওলো দিবালা। গত জানুয়ারিতে লিগের প্রথম দেখায়ও সাসাউলোকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল সাদা-কালোরা।
নিজেদের ঘরের মাঠে শুরুতেই পেনাল্টি পায় সাসউলো। কিন্তু জুভেন্টাসের বিদায়ী গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন দারুণ দক্ষতায়। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে রাবিওর নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। বিরতির ঠিক আগে ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে রোনালদোর করা শততম গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে সফরকারীরা। এতে জুভেন্টাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দ্রুততম সেঞ্চুরি গোলের দেখা পান রোনালদো।
এবারের সিরি’আয় রোনালদোর এটা ২৮তম গোল, আছেন গোলদাতার তালিকায় সবার শীর্ষে। দুই নম্বরে থাকা রোমেলু লুকাকু অনেক পেছনে, ২১ গোল।
বিরতি থেকেই ফিরে ৫৯ মিনিটে ব্যবধান কমায় সস্যুলো। তবে সাত মিনিট পর আবারও ব্যবধান বাড়ায় জুভেন্টাস। এবার গোলের দেখা পান পাওলো দিবালা। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।
এই জয়ের পর এখনো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী আসরে খেলার সম্ভাবনাও টিকে রইলো জুভেন্টাসের। তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে উঠতে হলে হোঁচট খেতে হবে নাপোলি, এসি মিলান বা আতালান্তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২১
এমএমএস