১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তারকা জিমি গ্রিভস নিজ বাড়িতে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ৮১ বছর বয়সে মারা গেছেন। এক বিবৃতিতে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের সর্বোচ্চ এ গোলদাতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ক্লাবটি নিজেই।
নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে টটেনহ্যাম জানায়, ‘জিমি গ্রিভসের মৃত্যুকে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি শুধু টটেনহ্যাম হটস্পারের রেকর্ড গোলস্কোরারই নন বরং দেশের (ইংল্যান্ডের) ইতিহাসের দারুণ মার্কসম্যানও। তিনি আজ (রোববার) সকালে ৮১ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। ’
ইংলিশ এ ফুটবলার ক্যারিয়ারে একের পর এক কীর্তি গড়ে গেছেন। ৫৭ ম্যাচে ৪৪ গোল করে দেশের ইতিহাসের চতুর্থ সেরা গোলদাতা এ ফরোয়ার্ড। খেলেছিলেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ। যদিও ফাইনাল ম্যাচের স্কোয়াডে নাম লেখাতে পারেননি তিনি।
শুধু দেশের হয় ক্লাব ইতিহাসেও দুর্দান্ত কয়েকটি রেকর্ড গড়ে যান এ তারকা ফুটবলার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে ৩৬৬ গোল করে শীর্ষে ছিলেন গ্রিভস। ২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাকে ছাড়িয়ে যান।
ইংলিশ ক্লাব চেলসির হয়ে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করলেও গ্রিভস খেলেছেন ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান ও সর্বশেষ টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে। ব্লুজদের হয়ে চার মৌসুম ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে ইংলিশ এ ফরোয়ার্ড করেছিলেন ৪১টি গোল। যা এখনও এক মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যার তালিকায় রয়েছে।
চেলসি থেকে এসি মিলানে যোগ দিয়ে ভালো কিছু করতে না পারলেও টটেনহ্যামে যোগ দিয়ে ডি-বক্সের ত্রাসে পরিণত হন গ্রিভস। স্পার্সদের হয়ে হয়ে ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩৭৯ ম্যাচ খেলে করেন ক্লাব রেকর্ড ২৬৬ গোল। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তার করা ৩৭ গোল এখনও টটেনহ্যামের ইতিহাসে লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
আরইউ