একই শহরের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব। কিন্তু বহু বছর মাঠে ও মাঠের বাইরে এক দল ছিল যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে।
গত মৌসুমে সবমিলিয়ে ৫৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছিল সিটি, যা ২০১৯/২০ মৌসুমের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ইউনাইটেডের আয় ছিল ৪৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড। বিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম 'কেপিএমজি'র এক পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতেই বুঝা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনাইটেডের বাজে ফর্ম তাদের আয়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
গত মৌসুমে ইউনাইটেডের চেয়ে ১২ পয়েন্টের স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছিল সিটি। অন্যদিকে মৌসুমের প্রায় অধিকাংশ সময় শিরোপার দাবিদার হয়েও দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করে রেড ডেভিলরা। পেপ গার্দিওলার সিটি অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তারা হেরে যায় চেলসির কাছে। কিন্তু নতুন মৌসুমে ফের দুর্দান্ত ফর্মে আছে সিটি। যার প্রভাব পড়েছে তাদের বার্ষিক আয়েও।
কয়েক যুগ ধরে ম্যানচেস্টার শহরের এক নম্বর ক্লাব ছিল ইউনাইটেড। সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে তারা অসংখ্য শিরোপা জিতেছিল। প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার পাশাপাশি ওই সময় তাদের আর্থিক দিকটাও ছিল বেশ শক্তিশালী। এমনকি টানা কয়েক বছর তারা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ক্লাবের স্বীকৃতিও পেয়েছিল।
অন্যদিকে ২০০৮ সালে আরব ধনকুবের শেখ মনসুর সিটির মালিকানায় আসার পর থেকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছায়া থেকে ধীরে ধীরে আলোয় আসতে থাকে সিটি। এরপর থেকে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও শক্তিশালী হতে থাকে তারা। পেট্রো-ডলারের জোরে তারা দলে ভেড়ায় বিশ্বের বড় বড় ফুটবল তারকাদের। ১৪ বছর পর সেই সিটি এখন ইউনাটেডকে সবদিক থেকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে।
চলতি মৌসুমেও বাকিদের চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে সিটি। গত মৌসুমে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা জেতা দলটি এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথেই আছে। অন্যদিকে ইউনাইটেড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকাকে দলে ভিড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। লিগে তাদের বর্তমান অবস্থান সাতে। পার্থক্যটা তাই স্পষ্ট, ম্যানচেস্টারের 'রাজা' এখন সিটিই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এমএইচএম