রাঙামাটি: দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে পুরো জেলা কুয়াশাছন্ন দেখা যাচ্ছে।
ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি সদর হাপাতালের আন্ত:বিভাগ প্রতিদিন ৬০-৭০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০০-১৫০ জন শিশু রোগী। হাসপাতালে আসন সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের অভিভাবকরা বলছেন, বেশি ঠাণ্ডার কারণে তাদের শিশুরা জ্বর, ডায়েরিয়া এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে আসন কম থাকায় ফ্লোরে থেকে হলেও চিকিৎসাসেবা নেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাসেবা সেবার সুযোগ-সুবিধা পেতে হাসপাতালের আসন সংখ্যা বাড়ানো দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা বেবিললন চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুইটি শিশুকে মঙ্গলবারসহ তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। মূলত ঠাণ্ডার কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল।
হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মা রেশমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার শিশুটার বেশি জ্বর। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
আরেক শিশুর মা মণি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলের ডায়েরিয়া। গত কয়েকদিন হাসপাতালে আমার শিশুর চিকিৎসা চলবে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছেন, বেশি ঠাণ্ডা পড়ার কারণে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন অন্ত:বিভাগে ৬০-৭০ জন শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বাংলানিউজেকে বলেন, আমরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারলেও আসন কম থাকায় অনেক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। কারণ আমাদের হাসপাতালটি ৫০ শয্যার। আমাদের হাসপাতালটির ১০০ শয্যায় উন্নতি হলেও নতুন ভবন তৈরি না হওয়ায় ১০০ জনের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ পেলেও সেবার গতি বাড়ানো যাচ্ছে না।
ডা. শওকত আরও বলেন, হাসপাতালের বহুতল ভবনের কাজটি বর্তমানে চলমান। আমরা গণপূর্তের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি আগামী জুন মাসে ভবনের কাজটি শেষ হলে আমাদের চিকিৎসা সেবার গতি যেমন বাড়বে তেমনি রোগীদের আর আসন নিয়ে ভাবতে হবে না।
জেলায় মানুষের সংখ্যা বাড়লেও পেলেও হাসপাতালের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। যে কারণে চিকিৎসা সেবার গতি অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী জুন মানের মধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরি হয়ে গেলে এ সংকট দূর হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এসআরএস