ঢাকা: ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্যে ও ওষুধে ভেজাল বন্ধ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে হাসপাতাল করাসহ গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার প্রতিরোধে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।
এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নিউজনেক্সট বিডিডটকম। বৈঠক সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক তৌফিক মারুফ।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন মিডয়ার ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে হবে, স্ক্রিনিং করতে হবে, স্বাস্থ্য বিষয়ে ভালো কাজের প্রচার করলে সেগুলো প্রচার করতে হবে। আর অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সেগুলোও প্রচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করলে দেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা নিতে পারে। বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার হাসপাতাল হতে হবে, না হলে এক জায়গায় ৫ হাজার বেডের হাসপাতাল হলেও লাভ হবে না। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তবে দেশে ক্যান্সারের জন্য বিভাগীয় যে হাসপাতাল হচ্ছে, তা ভালো উদ্যোগ।
এনআইসিআরএইচ-এর সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী মনজুর কাদের বলেন, আমাদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। বাচ্চা যাতে বেশি না হয়, সেই বার্তা দিতে হবে। সুষম খাদ্য নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
এনআইসিআরএইচ-এর প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, মানুষের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় ক্যান্সার হতে পারে। ক্যান্সার যদি সূচনায় ধরা পরে তাহলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। এক্ষেত্রে দ্রুত ডায়গনোসিস করা খুবই জরুরি। বিদেশে হেলথ ইন্স্যুরেরেন্স ব্যবস্থা থাকে বলে তাদের চিকিৎসাটা সুন্দর হয়। আমাদের দেশে ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা নাই, তাই আমাদের সমস্যা হয়।
নিউজনেক্সট বিডিডটকমের সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ভুল চিকিৎসা নিয়ে আমরা এই আলোচনায় অনেক কথা শুনলাম। আমি মনে করি ভুল চিকিৎসা এবং ভুল রিপোর্টিং দুটিই মানুষের জন্য হানিকর।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল, নাগরিক টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ