ঢাকা: দেশে সব ধরনের টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ইঙ্কের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে ভ্যাকসিন উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং মান-নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ইঙ্ক।
সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জে ৯ একর জায়গায় স্থাপিত হবে। ডায়াডিক আমাদের কারিগরি সহায়তা করবে, এখানে তাদের কোনো অংশীদারত্ব থাকবে না। এখানে যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হবে সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। আমরা আশা করি এই ভ্যাকসিন বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব। এই বিষয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, চার বছরে উৎপাদনে যেতে পারব। এই প্ল্যান্টে আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রয়োজনীয় সব ভ্যাকসিন উৎপাদন করব। এই ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরিতে আমাদের ৩৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের আশ্বাস আছে। এরপর আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যখন তাদের সাথে চুক্তি হবে, তখন সেই চুক্তিতে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। তারা আমাদের টিকা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দেবে, তারা আমাদের দেশের লোকদের টিকা উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের দেশের লোকজন প্রয়োজন হলে দেশের বাইরেও যাবে প্রশিক্ষণ নিতে।
অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ইঙ্কের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক এমালফার্ব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ