বরিশাল: বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা বিভাগে মোট ১২ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরও ২১০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে গোটা বিভাগের ৬ জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৮৬১ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বকুল রাণী নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ঘোড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১০ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সব থেকে বেশি ৭০ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া ৩৫ জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ দুই হাসপাতালে বর্তমানে ২৭০ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন।
এছাড়া পটুয়াখালী জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ৩১ জন, ভোলায় ২১ জন, পিরোজপুরে ৩১ জন ও বরগুনায় ২২ জন ডেঙ্গুরোগী গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ছয় হাজার ৩৭৬ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাচ হাজার ৫০৩ জন।
এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে বারোজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জন, বরগুনা হাসপাতালে ১ জন এবং ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে। জনবলসহ নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
এমএস/জেএইচ