ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিবেশবান্ধব মাইক্রোওয়েব বেইসড অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সব কিছুই সর্বাধুনিক। আজ উদ্বোধিত এই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) প্ল্যান্ট পরিবেশনবান্ধব। পাশাপাশি এ মেশিন দিয়ে অল্প সময়ে অনেক বেশি মেডিকেল বর্জ্য প্রোপার ম্যানেজমেন্ট করা যাবে। এ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আগত সেবাপ্রত্যাশী মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেবাপ্রার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবাদানের কাজে নিয়োজিতদের সব সময় রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টরা যেন রোগীর প্রতি যত্নবান হন। যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করলে সেবাপ্রার্থীদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সবাই ভালোভাবে নিজ নিজ কাজ করে চলেছেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন শিপন, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. বশির আহম্মেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্টটি মাইক্রোওয়েব বেজড মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা। এতে ইলেকট্রিক ওয়েবের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়ে থাকে। ফলে মেডিকেল বর্জ্য প্রায় শতভাগ ব্যবস্থাপনা হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়া একটি চেম্বারের ভেতরে করা হয় বলে ক্ষতিক্ষর কোনো কিছু বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এ প্ল্যান্টে প্রতি ব্যাচে ৯০ কেজির মতো বর্জ্য ৩০ মিনিটেই ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব। এর আগে মেডিকেল বর্জ্যকে ইনসেনারেশন বা পুড়িয়ে ম্যানেজমেন্ট করা হতো, ফলে পরিবেশের ক্ষতি হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৩
আরকেআর/আরএইচ