ভোলা: উপকূলীয় জেলা ভোলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ জন।
দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। আর এতে রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। তাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। স্থান সংকুলান না থাকায় অনেকে আবার বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের ধরন পাল্টে গেছে। এখন শুধু জ্বর হলেই ডেঙ্গু হচ্ছে এমনটি নয়, বিভিন্ন উপসর্গে ধরা পড়ছে ডেঙ্গু। আর তাই এটি নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে চিকিৎসকদের।
ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. গোলাম রাব্বী চৌধুরী বলেন, শুধু জ্বর হলেই ডেঙ্গু হচ্ছে এমনটি নয়, শারীরিক অন্যান্য লক্ষণ থেকেও পরীক্ষায় ধরা পড়ছে ডেঙ্গু। যার মধ্যে বমি, ডায়রিয়া, শারীরিক দুর্বলতা, পেট ও শরীর ব্যথা রয়েছে। যদিও চিকিৎসক সংকট রয়েছে তবুও আমরা যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিনুর বলেন, রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
জেলায় আক্রান্তের হার বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শুধু হাসপাতাল নয়, বাসা বাড়িতেও আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার পাশাপাশি মশক নিধন অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি পর্যায় থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে, ডেঙ্গু নির্মূলে স্প্রে করতে হবে। জ্বর আক্রান্ত হলে পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো সংকট নেই। রোগীর চাপ সামলাতে ডেঙ্গুর ইউনিট বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
আরএ