ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মায়ের কিডনিতে বাঁচল মেয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
মায়ের কিডনিতে বাঁচল মেয়ে

ঢাকা: মায়ের দেওয়া কিডনি এক সন্তানের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের কিডনি দাতা ও গ্রহীতার ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান।  

সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদপুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের শ্রাবণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় অসুস্থ ছিল। তার মা ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা মেয়েকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করার সম্মতি দেন। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক, উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিক, শিশু কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেনসহ ৩১ জন চিকিৎসক এই কিডনি প্রতিস্থাপনের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ আমাদের অন্যরকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনিদাতা মা ও কিডনিগ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সব রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, দেশের রোগী যেন দেশের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কাজ করছে। দেশের মানুষ ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষ করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশে যায়। এ ছাড়া ক্যান্সার, ইনফার্টিলি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশ যায়। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে মা-মেয়েকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও কেকে কেটে বিদায় জানানো হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের ওষুধও তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩

আরকেআর/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।