ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও দুই হাজার ৮২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ৮২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে এক হাজার পাঁচজন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক হাজার ৮১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৫৮৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮৭৭ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৭১০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চারজন ঢাকা সিটিতে এবং আটজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতিত) মারা যান।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪৬৮ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ১৭৮ জন মারা যান।
চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৬১ হাজার ৪৮৯ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৭১ হাজার ৬৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ২৩ হাজার ৪১৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫৬ হাজার ৯৬৯ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল ৬৬ হাজার ৪৫০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট নয় হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে চার হাজার ৫২ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) পাঁচ হাজার ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৩ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার ৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস