মাদারীপুরে লোকমান মোল্লা নামে এক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা নারীরা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে লোকমান মোল্লার (ক্লিনিক মালিক) বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়া লোকমান মোল্লার বিচার দাবি করে পুলিশ সুপার এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নারীরা লোকমান মোল্লার বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই জেলা শহরের কলেজ রোড এলাকায় ইকবাল মৃধা ও তার বংশের লোকজন বসবাস করে আসছেন। কয়েক বছর আগে কলেজ রোড এলাকাতে লোকমান মোল্লা একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরই ইকবাল মৃধা ও তাদের লোকদের জমির ওপর নজর পড়ে লোকমান মোল্লার। যে কারণে ক্লিনিক সম্প্রসারণের নামে বিভিন্ন কৌশলে তিনি জমি দখলের চেষ্টা শুরু করেন।
ইকবাল মৃধার পরিবারের দাবি, ‘শনিবার সকালে লোকমান মোল্লা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিলে অনি আক্তার (২৬), আকাশ মৃধাসহ (৩৩) কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পাপড়ি আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পৈত্রিক জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন লোকমান মোল্লা। বাধা দিতে এলে হামলা করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন লোকমান মোল্লা। আমরা এর বিচার চাই। ’
অপর বাসিন্দা ইকবাল মৃধা বলেন, ‘লোকমান মোল্লা তার ক্লিনিক বড় করার জন্য আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের নারীদের ওপর হামলাও করিয়েছেন তিনি। ’
এদিকে অভিযুক্ত লোকমান মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ক্রয়কৃত জমিতেই আমি ক্লিনিক করেছি। কোনো জমি দখল করিনি। সব অভিযোগ মিথ্যা। ’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্দোলন করা নারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এসআরএস