ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরায় শেয়ারভিত্তিক মালিকানায় হচ্ছে অত্যাধুনিক মেডিকেল সিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৫৪, জুলাই ২০, ২০২৫
বসুন্ধরায় শেয়ারভিত্তিক মালিকানায় হচ্ছে অত্যাধুনিক মেডিকেল সিটি দেখতে এমন হবে বসুন্ধরা মেডিকেল সিটি

রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা বসুন্ধরায় আধুনিক চিকিৎসার সব সুবিধা নিয়ে শেয়ারভিত্তিক যৌথ মালিকানায় নির্মিত হচ্ছে ‘বসুন্ধরা মেডিকেল সিটি’। আবাসিক এলাকার এন ব্লকে কেন্দ্রীয় মসজিদ ও বাজার প্রতিদিনসংলগ্ন ছয় বিঘা জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এস রহমান প্রপার্টিজ।

গতকাল বসুন্ধরার আই ব্লকে মাশাল্লাহ্ ট্রেড সেন্টারে এস রহমান প্রপার্টিজ কার্যালয়ে আগত অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে শেয়ার বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এস এম শাহিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিস্তারিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বেসরকারি পর্যায়ে দেশের বৃহত্তম এই  মেডিকেল সিটিতে থাকবে জরুরি চিকিৎসাসহ সব ধরনের সুবিধাসংবলিত আধুনিক হাসপাতাল, ১৫০ জন ডাক্তারের জন্য ডক্টরস চেম্বার, থাকবে আধুনিক সুবিধাসংবলিত বিশাল পরিসরের ডায়াগনস্টিক  সেন্টার, মেডিকেল ইকুইপমেন্টস ও ওষুধের পাইকারি বাজার, বিশেষায়িত ইউনিট ও বিভিন্ন ক্লিনিক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১২০ কাঠা জমিকে ১৪০টি শেয়ারে ভাগ করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। মার্কেটের কমার্শিয়াল স্পেসে দোকানের শেয়ারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। হাসপাতাল অংশে প্রতি শেয়ার মালিক প্রায় ২ হাজার ৮০০ বর্গফুট স্পেস পাবেন। দোকানের শেয়ার মালিক পাবেন প্রায় ২৫০ বর্গফুট স্পেস। একজন সর্বোচ্চ সাতটি শেয়ার নিতে পারবেন। দুইজন মিলে একটি শেয়ার কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে যাঁরা একসঙ্গে হাসপাতাল ও দোকানের শেয়ার বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা মূল্য হ্রাস ও ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা বিমান টিকিট দেওয়া হয়। প্রথম দিনে এক ঘণ্টাতেই আটটি শেয়ার বিক্রি হয়।

এস রহমান প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান এস এম শাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ’৯০-এর দশক থেকে ঢাকায় শেয়ারভিত্তিক মালিকানায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতে পাঁচটি প্রকল্প চলমান আছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের অনুপ্রেরণায় হাসপাতালের প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। তিনি (বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান) সর্বোচ্চ সহযোগিতার পাশাপাশি হাসপাতালের জন্য লেকের ওপর একটা ব্রিজ করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ব্রিজটি করতে অন্তত ৮ কোটি টাকা খরচ হবে। আশা করছি আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে মেডিকেল সিটি আংশিক চালু করে ফেলা যাবে। পুরো প্রকল্প শেষ হতে চার থেকে সাড়ে চার বছর লাগবে। এখানে বিনিয়োগ করলে বাড়িভাড়ার চেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব হবে। ’
তিনি জানান, কেউ বুকিং দিয়ে তিন মাসের মধ্যে শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। কেউ শেয়ার রাখতে না চাইলে পুরো অর্থ ফেরত পাবেন, এজন্য ১৫ দিন আগে নোটিস দিতে হবে।

গতকাল বসুন্ধরা মেডিকেল সিটিতে প্রথম শেয়ার বুকিং দেন এভারকেয়ার হসপিটালের প্রিন্সিপাল সাইকোথেরাপিস্ট আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটা খুবই আকর্ষণীয়। বসুন্ধরার মধ্যে হাসপাতালের মতো প্রকল্পে এই দামে এত বড় কমার্শিয়াল স্পেস পাওয়ার কথা ভাবাই যায় না। তাই আগের দিনই চেক জমা দিয়ে প্রথম বুকিং নিশ্চিত করেছিলাম। ’

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।