ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজের যৌথ উদ্যোগে সাড়ে তিন শতাধিক চক্ষু রোগীকে নিখরচায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর জোয়ার সাহারার জসিম উদ্দিন ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল দিনব্যাপী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চক্ষু পরীক্ষা করছেন। দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ওষুধ, বিতরণ করা হচ্ছে চশমা। এছাড়া জটিল ও কঠিন চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশনেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বী ও ডা. নাবিলা কবীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। পুরো কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন মো. আবু তোয়াব, সহকারী হিসেবে আছেন মো. রুবেল রানা ও মো. রাকিব হাসান।
প্রফেসর ডা. সালেহ আহমেদ বলেন, চোখের সুস্থতা মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক মানুষ অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেন না। তাই আমরা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চক্ষু চিকিৎসা পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
চিকিৎসা নেওয়া অনেকে জানান, আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেননি। বিনামূল্যে এ সুযোগ পাওয়ায় তারা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রেহনুমা নামের একজন বলেন, অনেক দিন ধরে চোখে ঝাপসা দেখে আসছি, টাকার অভাবে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। আজ বিনা খরচে চিকিৎসা পেলাম, অপারেশনও হবে, খুবই ভালো লাগছে।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি বলেন, আমরা এখানে নানা বয়সের রোগী দেখছি। ছোটদের মধ্যে দূরের জিনিস না দেখতে পাওয়ার সমস্যা বেশি, আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাছের জিনিস না দেখতে পারের প্রবণতা বেশি। চোখ একটি সংবেদনশীল অঙ্গ, তাই প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা উচিত। চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি আমরা সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি।
জসিম উদ্দিন ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন বলেন, আমি দূর থেকে ঝাপসা দেখতাম, আজ চোখ দেখালাম। আয়োজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়মিত এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ উপকৃত হতে পারে।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের পক্ষে এ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. আবু তোয়াব বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, আজকে দিনব্যাপী বিভিন্ন বয়সী ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। আশা করি বিকেল ৪টার মধ্যে আমাদের টার্গেট সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ জনের মতো রোগী দেখা হয়ে গেছে।
জিএমএম/এইচএ/