ঢাকা: যেসব নারী জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্ত বয়সের ভিত্তিতে তাদের মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে এমন উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন কানাডার স্বাস্থ্য বিষয়ের গবেষকরা।
গবেষণা দলের প্রধান মানিটোবা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হারমিন্দার সিংহ বলেন, “ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে বেঁচে যাওয়াদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, ক্যান্সার পরবর্তী সময়ে আর কী কী সমস্যার সম্মুক্ষীণ হতে পারে তাও জানা জরুরি, কারণ বিপদ তখনো কেটে যায় না”
উল্লেখ্য, নারীদের প্রজননক্ষম অঙ্গে যেসব ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার সাধারণ রোগ।
অতীতের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত ‘দ্য আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’ শীর্ষক গবেষণাটির ভাষ্য মতে, “২০১৩ সালে আনুমানিক ৫০,০০০ নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন এবং প্রায় ৮,০০০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত নারী মারা যাবেন। ”
‘জার্নাল অব অঙ্কলজি’তে প্রকাশিত এই নতুন গবেষণাটির জন্য ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের ৩১১৫ জন জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করেন গবেষকরা।
গবেষকরা এই রোগীদেরকে কখনো ক্যান্সারে আক্রান্ত হননি এমন ১৫,০৮৪ জন নারীর সঙ্গে তুলনা করেন।
সুস্থ নারীদের মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে গবেষকরা ২০০৯ সালে কতোজন নারী মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এ তথ্য খুঁজে পান।
দেখা গেছে, জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ নারীই পরবর্তী সময়ে মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে সুস্থ নারীদের মধ্য থেকে মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন।
এই সমস্ত গবেষণায় দেখা গেছে, জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্য থেকে ৫০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
আক্রান্তদের মলাশয়ের ডান দিকে ক্যান্সার হবার ঝুঁকিও একটু বেশি বলে জানান গবেষকরা।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল১২, ২০১৩
সম্পাদনা : বুশরা ফারিজমা হুসাইন ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর